চার ক্যাম্পাসে শিবিরের ভূমিধস জয় রহস্যজনক: নুর

আপডেট: November 1, 2025 |
dsdffffas 7
print news

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্প্রতি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। 

তিনি বলেন, ছাত্রদল ও শিবির নানা বাস্তবতায় এতদিন ক্যাম্পাসে যেতে পারতো না, প্রকাশ্যে পরিচয়ও দিতো না। শিবির তো একেবারে নিষিদ্ধ ছিল। তবুও সব বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের জয়জয়কার, এটা আমার কাছে রহস্যজনক।

শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘পলিটিক্স ল্যাব: পাবলিক ডায়ালগ’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) ও ফ্রেডরিখ এবার্ট স্টিফটুং (এফইএস-জার্মানির সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সঙ্গে সম্পর্কিত একটি রাজনৈতিক ফাউন্ডেশন)-এর সহযোগিতায় এই সংলাপের আয়োজন করা হয়।

নুর বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর এই চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের একেবারে ভূমিধস বিজয় হয়েছে। সবাই জানে স্বতন্ত্ররা যারা জিতছে তারাও শিবিরের নেক্সাসের। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষিত তরুণরা কেন তাদের ভোট দিলো?

গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা জানান, তার বিশ্লেষণে শিবিরের এই সাফল্যের পেছনে কাজ করছে তাদের ‘ওয়েলফেয়ার বেইজড পলিটিক্স’ বা কল্যাণভিত্তিক রাজনীতি। তারা ছাত্রদের নানা সুবিধা দেয়। অনেকে বলছেন, কিছু হাসপাতালে শিবির এমন চুক্তি করেছে যেখানে সদস্যদের পরিবার খুব কম খরচে চিকিৎসা নিতে পারে।

সুবিধার বিনিময়ে ভোট দেওয়া প্রসঙ্গে নুর বলেন, আমরা যে তরুণদের নিয়ে স্বপ্ন দেখি, যে তরুণদের নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই পরিবর্তনের দিকে। তারা যদি..গ্রামে আমরা দেখি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় মানুষ ভোট দিয়ে দেয় আরেকজনকে। বাছ-বিচার করে না। সেটা জনসচেতনতার অভাব যার ফলে অযোগ্য মানুষ সংসদে চলে আসে, নেতৃত্বে চলে আসে; তাহলে উচ্চশিক্ষিত তরুণরা তো তাই করছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক পারভেজ করিম আব্বাসী।

তাসনিম জারা বলেন, প্রতিবাদ করা ছাড়া দেশে কিছুই পাওয়া যায় না। আমাদের দেশে দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় নামতে হয়। এ জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, কতগুলো বিষয়ে আদর্শিক ভিন্নমতের কারণে আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করিনি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সনদে স্থান পায়নি বলে মনে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিদ্যমান সংবিধানের কোথাও গণভোটের কথা নেই। এই গণভোটের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে হয় না। ১১টার মধ্যে ৫টা সংস্কার কমিশনের কোনো খবর নেই। আবার ৬টা সংস্কার কমিশনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার ছাড়া অন্য কোনো সংস্কার কমিশন নিয়ে আলোচনাই হয়নি।

আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আলোচনার টেবিলে বসলে আমরা দেখি সবাই খুবই আন্তরিক৷ কিন্তু টেলিভিশনের সামনে গেলে তারা দলের পক্ষের হয়ে যায়। বাংলাদেশে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো না থাকলে আমাদের রাজনীতি সহজ হয়ে যেত।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ঐকমত্য কমিশন অনৈক্যের একটা দলিল জাতির কাছে হাজির করেছে। জাতীয় নির্বাচনের শাশ্বত পথে প্রবেশ না করা পর্যন্ত কোনো কিছুর সমাধান আসবে না।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর