করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৮ নির্দেশনা

সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও ঘনীভূত করোনাভাইরাস আতঙ্ক। আর করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ‘রেসপন্স’ নির্দেশনা দিয়েছে। এতে আটটি করণীয় নির্দেশ করেছে সংস্থাটি। বাংলাদেশ বিষয়ক ৬ নম্বর সিচুয়েশন রিপোর্ট গত ৭ এপ্রিল প্রকাশ করেছে।

এর সংক্ষিপ্ত কোড হলো ‘রেসপন্স’। আর : রেডি হিউম্যান রিসোর্সেস (মানবসম্পদ প্রস্তুতকরণ), ই : এক্সপান্ড ল্যাবরেটরি টেস্টিং (ল্যাব পরীক্ষার সম্প্রসারণ), এস : সাসটেইন রোবাস্ট সার্ভিলেন্স (টেকসই পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করা), পি : প্রায়োরেটাইজ কেস ম্যানেজমেন্ট (রোগী ব্যবস্থাপনায় অগ্রাধিকার), ও : অরগানাইজ হেল্থ ফ্যাসিলিটিজ (স্বাস্থ্য সুবিধাদি সংগঠিত করা), এন : নেটওয়ার্ক অ্যান্ড কো-অর্ডিনেট, এস : সিকিউর ফান্ডিং অ্যান্ড সাপ্লাইজ (অর্থায়ন ও সরবরাহ নিশ্চিত করা) এবং ই : এনসিওর ইনফেকশন কন্ট্রোল (সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা)।

ডব্লিউএইচওর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের ৬ এপ্রিল ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলজি অ্যান্ড ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চের (আইইডিসিআর) ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে কেস ফার্টিলিটি (আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুহার) হলো ৯ দশমিক ৭৬ ভাগ। গত ৬ এপ্রিলের মধ্যে ৩ হাজার ৬১০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ঢাকার বাইরে করা হয়েছে শতকরা ১১ ভাগ। গত ৭ এপ্রিল সারাদেশ থেকে ৫৫০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার বাইরে শতকরা ২৩ ভাগ। রিপোর্টে আরও বলা হয়, চৌদ্দটি ল্যাবে বর্তমানে টেস্ট চলছে।

প্রসঙ্গত, দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার একমাস পূর্ণ হয়েছে আজ । গত ৮ মার্চ প্রথম এই ভাইরাসে দেশে সংক্রমণ হয়। এক মাসে দেশে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২১৮ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২০। আর সুস্থ হয়েছেন মাত্র ৩৩ জন। আক্রান্ত ২১৮ জনের মধ্যে শুধু ঢাকার রয়েছেন ১২৩ জন। বাকিরা দেশের বিভিন্ন জায়গার। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, এর অর্ধেকেরও বেশি রয়েছেন কেবল ঢাকা শহরেই। ঢাকা ছাড়াও আরও ২০টি জেলায় ছড়িয়েছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ।

বৈশাখী নিউজবিসি