দেশে করোনায় মারা যাওয়া নতুন ১০ জনের মধ্যে ৭ জনই পুরুষ
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে আরও ১০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ জন। নতুন মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ৭ জন এবং নারী ৩ জন। তাদের মধ্যে ঢাকায় রয়েছেন ৬ জন এবং ঢাকার বাইরে ৪ জন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সম্পর্কে নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, নতুন যে ১০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন এদের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ বছর বয়সের ১ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সের ৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সের ৩ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন।অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, দেশে করোনায় আক্রান্ত দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩৪১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ১ হাজার ৫৭২। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত রোগী সুস্থ হননি। অর্থাৎ এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪৯ জনে।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশ থেকে ২ হাজার ১৩৫টি নমুনা সংগ্রহ করে দেশের ১৭টি ল্যাবরেটরিতে ২ হাজার ১৯টি পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ৩৪১ জন নতুন শনাক্ত হয়েছেন। বুধবারের চেয়ে আজ ১২২ জন বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার আক্রান্ত হয়েছিলেন ২১৯ জন। বুধবারের চেয়ে আজ নমুনা সংগ্রহ বেড়েছে ৪ শতাংশ এবং পরীক্ষার হার ১৬ শতাংশ বেড়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে ৩৭ জনকে এবং বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪৬১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনসহ এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৪৭১ জন। মোট আইসোলেশন শয্যা আছে ৬ হাজার ৯৭৭টি, ঢাকা মহানগরীতে ১ হাজার ৫৫০টি। সারাদেশে আইসিইউ’র সংখ্যা ১৯২টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট ৪০টি।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৪ হাজার ৪৯৯ জনকে ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৭১৫ জনকে। এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৯২ হাজার ২০৪ জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৩ হাজার ৮৭৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৫ হাজার ২১৪ জন এবং এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৩ হাজার ৭৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন মুক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ২৫ জন এবং এ পর্যন্ত ৬৬ হাজার ৫০৫ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৩ হাজার ৩০০ জন ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩ হাজার ২৭৪ জন এবং সর্বমোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৬ হাজার ৫৭৪ জন। সারাদেশের ৬৪ জেলা ও উপজেলায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য ৪৮৮ প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখানে তাৎক্ষণিকভাবে কোয়ারেন্টিন করা যাবে ২৬ হাজার ২৫২ জনকে।
তিনি জানান, স্বাস্থ্য বাতায়ন ও আইইডিসিআর’র হটলাইন নম্বরে এ পর্যন্ত ২৫ লাখ ২৩ হাজার ৬৪১ জন ফোন করে পরামর্শ ও স্বাস্থ্য সেবা নিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সেবা নিয়েছেন ৯৬ হাজার ৭৪২ জন।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস চিকিৎসা বিষয়ে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ৮৯৭ জন চিকিৎসক অনলাইনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ৯৬ জন। এদের মধ্যে ৩ হাজার ৮৫৩ জন স্বাস্থ্য বাতায়ন ও আইইডিসিআর’র হটলাইনগুলোতে জনগণকে চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ দিচ্ছেন।
ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, দেশের বিমানবন্দর, স্থল, নৌ ও সমুদ্রবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৩৩ জন সহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ৬ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৬ জনকে স্কিনিং করা হয়েছে।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) সংগ্রহ হয়েছে ১৪ লাখ ৪৬ হাজার ৬১৬টি। বিতরণ করা হয়েছে ১০ লাখ ৫০ হাজর ৪৬৫টি। গত ২৪ ঘণ্টায় সংগ্রহ হয়েছে ১৩ হাজার এবং বিতরণ হয়েছে ৮ হাজার ৯শ’। এখন মজুদ রয়েছে ৩ লাখ ৯৬ হাজার ১৫২টি।
বৈশাখী নিউজ/ ইডি