দেশে করোনা থেকে সুস্থ হলো প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ

আপডেট: June 20, 2020 |

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মারা গেলেন এক হাজার ৪২৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন হাজার ২৪০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্ত হলেন এক লাখ ৮ হাজার ৭৭৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১০৪৮ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হলেন ৪৩ হাজার ৯৯৩ জন।

শনিবার (২০ জুন) বেলা আড়াইটায় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনের আয়োজন করা হয়। সেখানে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা.. নাসিমা সুলতানা।

বুলেটিনে বলা হয়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ হাজার ৭৭৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১৪ হাজার ৩২টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো পাঁচ লাখ ৯৬ হাজার ৫৭৯টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ২৪০ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো এক লাখ আট হাজার ৭৭৫ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৭ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো এক হাজার ৪২৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৪৮ জন। সব মিলিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা এখন ৪৩ হাজার ৯৯৩ জন।

গত শুক্রবারের (১৯ জুন) বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৫ হাজার ৪৫টি নমুনা পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ২৪৩ জনের মধ্যে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুও কমেছে, কম নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্তও হয়েছে কম। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ৫৩ জনের। সে তথ্য জানানো হয় ১৬ জুনের বুলেটিনে। আর সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড আছে চার হাজার আট জনের। এ তথ্য জানানো হয় ১৭ জুনের বুলেটিনে।

শনিবারের বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ০৯ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগী বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।

করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সবাইকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট দিকনির্দেশনা বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার এবং শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার কথা জানানো হয় এবং প্রথম মৃত্যু ঘটে গত ১৮ মার্চ। এরপর গত ১৪ এপ্রিল ৩৮তম দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা এক হাজারে দাঁড়ায়। শনিবার ১০৫তম দিনে ১ লাখ ৮ হাজার ৭৭৫ জন জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এদিকে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা আজ শনিবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৬২ হাজার ৮৯৭ জনে।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে বিশ্বের ৮৭ লাখ ৭৬ হাজার ৪৪৮ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ৩৬ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫১ জন চিকিৎসাধীন এবং ৫৪ হাজার ৮০০ জন (২ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৪৬ লাখ ৪০ হাজার জন সুস্থ হয়ে উঠেছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর