লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি
লালমনিরহাটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বৃদ্ধি পেয়েছে জেলার প্রধান দুই নদী তিস্তা ও ধরলাসহ দশটি নদীর পানি। এতে করে পাঁচটি উপজেলার দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এমন অবস্থায় ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন তারা, দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকটের।
আজ শনিবার সকাল থেকে হাতীবান্ধায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৫ আর লালমনিরহাট সদর উপজেলার শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল কাদের।
অবিরাম বৃষ্টিপাত আর উজানে ভারত থেকে পাহাড়ি ঢলের পানিতে জেলার নদীগুলোর পানি বেড়ে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে বলে জানান তিনি।
বানের পানিতে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলো। পানির নিচে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার আমন বীজতলাসহ বিভিন্ন জাতের সবজি, বাদাম ও ভুট্টা খেত। আমনের বীজতলা ও বাদামের সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা করছেন নদীপাড়ের কৃষকরা।
জেলার ৫টি উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক গ্রামের দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়েছেন। এসব মানুষের অধিকাংশ গবাদিপশু ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
অনেকের ঘরের জিনিসপত্র ও হাঁস মুরগী বানের পানিতে ভেসে গেছে। পানিবন্দী এলাকাগুলোতে নলকূপ ও রান্নার চুলা পানির নিচে তলিয়ে থাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সঙ্কটে রয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অনেকে আত্মীয়-স্বজনের পাঠানো শুকনো খাবার রুটি, চিড়া, মুড়ি, গুড় খেয়ে বেঁচে রয়েছেন।
বৈশাখী নিউজ/ জেপা