কাল থেকে লকডাউন ওয়ারীর ৪১নং ওয়ার্ড
আগামীকাল শনিবার (৪ জুলাই) থেকে লকডাউনে যাচ্ছে রাজধানীর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ারীর ৪১নং ওয়ার্ড। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় সড়ক ও স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সকাল থেকেই বাঁশের বেড়া দিয়ে বেরিকেট তৈরির কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। লকডাউন করা ১৫টি রাস্তার মধ্যে এলাকার বাসিন্দাদের বের হওয়া ও ঢোকার জন্য ২টি গেট তৈরি করা হচ্ছে। মোট ২শ’ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে লকডাউন হওয়া এলাকায়।
এদিকে, রেড জোন এলাকা হওয়ায় করোনা টেস্টের জন্য সেখানে অস্থায়ী বুথ তৈরি করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনা সংক্রমণরোধ করার জন্য রেড জোন ভিত্তিক লকডাউনের অংশ হিসেবে ২১ দিনের জন্য লকডাউন করা হচ্ছে ওয়ারীর ৪১ নম্বর ওয়ার্ড।
গত ৩০ জুন দক্ষিণ সিটির নগর ভবনে লকডাউন বিষয়ক কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস লকডাউনের বিষয়ে বলেন, ওয়ারী এলাকাকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করে ওয়ারী এলাকার ৮টি সড়ক ২১ দিনের জন্য লকডাউন করা হবে।
৪ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর থাকবে। সার্বিকভাবে সবকিছুই বন্ধ থাকবে, শুধু ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সমন্বয় করে সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে।
মেয়র বলেন, যাতায়াত সুবিধার জন্য ওয়ারী এলাকার দুটি পথ খোলা থাকবে। বাকি পথগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেখানে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে। নমুনা সংগ্রহ করার জন্য বুথ থাকবে এবং সিটি করপোরেশনের মহানগর জেনারেল হাসপাতালে আক্রান্তদের জন্য আইসোলেশন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
এদিকে লকডাউন কার্যকর করতে প্রস্তুতি চলছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের। জানা যায়, লকডাউনের সময় স্বেচ্ছাসেবীরা কীভাবে কাজ করবেন, তা পর্যালোচনা ও স্বেচ্ছাসেবীদের তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ চলছে।
তিনটি শিফটে স্বেচ্ছাসেবীদের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হবে। ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের র্যাংকিন স্ট্রিট, লারমিনি স্ট্রিট, নবাব স্ট্রিট, ওয়্যার স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিটসহ জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন পর্যন্ত মোট ১৬টি লেন লকডাউনের আওতায় পড়ছে।
বৈশাখী নিউজ/ ইডি