ঘর থেকে বের হলেই মাস্ক পরুন
করোনাভাইরাস ঠেকাতে হলে ঘরের বাইরে সবারই ফেসমাস্ক পরার কথা জোড় দিয়ে বলছে ব্রিটেনের জাতীয় বিজ্ঞানবিষয়ক একাডেমি। তাদের মতে, মাস্ক পরতে না চাওয়া মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর মতই খারাপ অপরাধ।
রয়াল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ভেঙ্কি রামাকৃষ্ণান বলছেন, জনবহুল প্রকাশ্য স্থানে যখনই কেউ যাবেন তখনই তার মাস্ক পরা উচিত। কেননা যিনি মাস্ক পরছেন তিনিও নিরাপদ থাকবেন এবং তার কাছাকাছি যারা আছেন তারাও সুরক্ষা পাবেন এবং এর পক্ষে তথ্যপ্রমাণ আছে।
বিজ্ঞানীরা বলেন, মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া, কথা বলা, বা হাঁচি-কাশি দেবার সময় নাক-মুথ দিয়ে যে অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানির কণা বেরিয়ে আসে তার মাধ্যমেই করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছড়ায়।
সম্প্রতি ২০০’র বেশি বিজ্ঞানী এক খোলা চিঠিতে বলেছেন, করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। এর পরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বলা হয়েছে, যেখানে মানুষের ভিড় বেশি, বন্ধ ঘর অথবা যেখানে বাতাস চলাচলের ভালো ব্যবস্থা নেই- সেসব জায়গায় বাতাসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যায় না।
পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পল এডেলস্টাইন মাস্কের কার্যকারিতা নিয়ে একটি গবেষণা রিপোর্ট লিখেছেন। তিনি তার রিপোর্টে বলেছেন, মাস্ক যে অন্য লোকদের সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করে “তা সবসময়ই স্পষ্ট ছিল।”
এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “যেসব লোক ভাইরাস বহন করছেন কিন্তু দেহে কোন উপসর্গ নেই, তারা অজান্তেই নাক-মুখ দিয়ে ড্রপলেট ছড়াচ্ছেন। তাদের মুখ ঢাকা থাকলে এসব ক্ষুদ্র পানির বিন্দু বেশিরভাগই মাস্কে আটকা পড়বে, তা অন্য কাউকে সংক্রমিত করার আগেই।”
অধ্যাপক এডেলস্টাইন বলেন, অন্যদিকে যিনি মাস্ক পরে আছেন তাকেও যে এটা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে, তার “কিছু প্রমাণ” আছে।
সিঙ্গাপুরের বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ব্যাপারে সচেতন হবার আগের ২৪-৪৮ ঘন্টা সময়কালে রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি।
অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য বলেছে, মাস্ক পরা এবং খুলে নেবার সময় ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি আছে এবং এ ব্যাপারে ব্যবহারকারীকে সতর্ক থাকতে হবে। সূত্র : বিবিসি
বৈশাখী নিউজ/ জেপা