রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
অনিয়ম, চিকিৎসার নামে প্রতারণা, সরকারের সাথে চুক্তি ভঙ্গ ও জালিয়াতির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদের (ওরফে শাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মাদ শহীদ) দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) পুলিশের পক্ষ থেকে ইমিগ্রেশন বিভাগকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, প্রতারণা মামলার আসামি শাহেদের বিরুদ্ধে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তিনি যেন দেশের বাইরে যেতে না পারেন সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হচ্ছে।
এর আগে সোমবার (৬ জুলাই) রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। ৭ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখাকেই সিলগালা করা হয়। অভিযানে ভুয়া করোনা টেস্টের রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে।
৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করে র্যাব। মামলায় হাসপাতালের মালিকসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখা থেকে আটক আটজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহেদসহ নয়জনকে পলাতক আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে বুধবার (৮ জুলাই) রাতে গ্রেপ্তার করা হয় শাহেদের প্রধান সহযোগী তারেক শিবলীকে।
শাহেদের বিষয়ে অভিযান পরিচালনাকারী র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, অনিয়ম, অপরাধ ও প্রতারণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো চেয়ারম্যান (মো. শাহেদ) নিজেই ডিল করেছেন, অন্যান্য কয়েকজন কর্মীও ছিলেন। এখন চেয়ারম্যান পলাতক রয়েছেন। তাকে এবং জড়িত সবাইকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।
বৈশাখী নিউজ/ জেপা