ভারতে কবে আসছে ভ্যাকসিন, জানানো হল পার্লামেন্টারি কমিটিকে
মহামারীর মধ্যে আশার কথা হল, ভারতে এগোচ্ছে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ। কিন্তু কবে বাজারে আসবে এই ভ্যাকসিন? কবে মানুষকে প্রতিষেধক দেওয়া হবে? তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। একদিকে ১৫ আগস্ট দিন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। আবার গবেষকরা বলছেন, এত তাড়াহুড়ো করা ঠিক নয়।
শুক্রবার দেশটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটিকে এই বিষয় নিয়ে জানালেন সরকারি কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, আগামী বছরের আগে করোনার প্রতিষেধক আসা সম্ভব নয়।
চলতি মাসের শুরুর দিকে আইসিএমআর একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। একটি মেমোতে জানানো হয়েছিল যে ১৫ আগস্টের মধ্যে ভ্যাকসিন আনার চেষ্টা চলছে। বিরোধীরা বলছেন, নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক স্বার্থ মেটাতেই তাড়াহুড়ো করে ভ্যাকসিন আনার কথাবার্তা চলছে।
শুক্রবার এই সংক্রান্ত বৈঠক ছিল। সেখানে সরকারি উপদেষ্টাদের পক্ষ থেকে সাংসদদের জানানো হয়েছে যে ভারত ভ্যাকসিন ও জেনেরিক মেডিসিনের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকায় রয়েছে। তাই বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিনের জন্য যে দৌঁড় চলছে, তাতে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে।
এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ‘বিশ্বের ৬০ শতাংশ প্রতিষেধক তৈরি হয়েছে ভারতে। তাই ভারত আগামী দিনে ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা নেবে বলে আশা করা যায়।’
ভারত বায়োটেক ভ্যাকসিন তৈরির অনুমোদন পেয়েছে ইতিমধ্যে। জানা যাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে ১১০০ জনের শরীরে এই প্রতিষেধক পরীক্ষা হবে।
১৩ জুলাইয়ের মধ্যে এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। ফেজ ওয়ানের ফলাফল সামনে আসলে পরের ধাপে পরীক্ষা হবে। ১২টি ইনস্টিটিউট বেছে নেওয়া হয়েছে ট্রায়ালের জন্য। এর মধ্যে রয়েছে দিল্লি ও পাটনার এইমস।
ফেজ ওয়ানে অংশ নেবে ৩৭৫ জন। তিনটি ভাগে তাদের ভাগ করা হবে। প্রত্যেককে ১৪ দিন পরপর দুটি ডোজ দেওয়া হবে। ফেজ ওয়ান শেষ হলে পরের ফেজের জন্য ৭৫০ জনকে নেওয়া হবে।
দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার বিতর্কে ইতি টেনে সাফ জানিয়েছে, ১৫ আগস্ট নয় করোনার ভ্যাকসিন ‘কোভ্যাক্সিন’ জনসাধারণের জন্য আসতে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময় লেগে যাবে। এরই মাঝে ফের আইসিএমআর জানাল করোনার ভ্যাকসিন হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য রেডি করা হচ্ছে। সূত্র: আনন্দবাজার, কলকাতা২৪
বৈশাখী নিউজ/ জেপা