দেশে সুস্থতার সঙ্গে বাড়ছে আক্রান্ত
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে আরও কমেছে নমুনা পরীক্ষার হার। তারপরও করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি করোনাক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দীর্ঘ হলেও বাড়ছে সুস্থতার হারও। দেশে এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ লাখ ৭৩ হাজারের অধিক। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৮৪৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
এর মধ্যে গতকাল সোমবার পর্যন্ত ২ লাখ ৬০ হাজার ৫০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রন্তদের মধ্যে না ফেরার দেশে ৩ হাজার ৪৩৮ জন। তবে, সুস্থতা লাভ করেছেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৩৭ জন রোগী। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ২ হাজার ৬৭ জন। বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা দেড় লাখের বেশি।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়। যাদের দু’জনই ছিলেন বর্তমান করোনায় ছেয়ে যাওয়া নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। অন্যজন মাদারীপুরের। শুরুতে বিদেশফেরতদের সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ালেও এখন তা প্রকট আকার ধারণ করেছে অবাধ চলাফেরা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত শুধু ঢাকা জেলাতেই আক্রান্ত ৫১ হাজার ১৮৫ জন। আর ঢাকার বাহিরে চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ২২৪ ও নারায়ণগঞ্জে ৬ হাজার ৩৩ জন।
এদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন নড়াইলের সিভিল সার্জন ডাক্তার আবদুল মোমেন। পটুয়াখালীর গলাচিপায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া বৃদ্ধের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। নতুন করে চিকিৎসক ও ফায়ার সার্ভিসের এক সহকারী পরিচালকসহ ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এ জেলায়।
উত্তরের জেলা দিনাজপুরে নতুন করে ৪২ জনের দেহে মিলেছে ভাইরাসটির সংক্রমণ। পার্শ্ববর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে আরও এক স্বাস্থ্যকর্মী, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ২৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পঞ্চগড়ে আরও ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এছাড়া, দেশের প্রায় সব জেলায় কমবেশি সংক্রমণ আগের তুলনায় বেড়েছে। এর মধ্যে , ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, বগুড়া. ফরিদপুর, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশালে ও কক্সকাবাজারে আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে সংক্রমণ।
আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক, আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য, স্বাস্থ্যকর্মীরাও রয়েছেন। এমন অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মানা ও অপ্রয়োজনে বাহিরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বৈশাখী নিউজ/ এপি