সৌদি আরবের আল আহসা, বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বনির্ভর মরুদ্যান!

সৌদি আরবের আল আহসাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বনির্ভর মরুদ্যান হিসেবে  স্বীকৃতি দিয়েছে গিনেস বুকস কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার এই স্বীকৃতি পাওয়ার পর আনন্দে মাতেন আল আহসার বাসিন্দারা। খবর আরব নিউজের।

অত্যন্ত যত্ন ও কঠোর পরিশ্রমের পরই এমন সফলতা মিলেছে বলে মত স্থানীয়দের। সেখানে লাখ লাখ খেজুর গাছ রয়েছে। এর বিস্তৃতি ৩২.৯ বর্গমাইল এবং ২৮০টি পানির প্রস্রবণ থেকে পানি সরবরাহ করা হয়।

এই অঞ্চলে উৎপাদিত খেজুর সৌদি আরবসহ বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত। হালকা সবুজ ও শীতল আবহাওয়া আল আহসাকে সৌদির অন্যতম পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে।

আল-আহসায় লাইসেন্সধারী ট্যুর গাইড মুহাম্মদ আলখুদায়েরি বলেন, তিনি আশা করেন যে এই জাতীয় নামী সংস্থার স্বীকৃতি আরও বেশি লোককে মরুদ্যান পরিদর্শন করতে এবং এর সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে উদ্বুদ্ধ করবে।

তিনি বলেন, আল আহসা মরুদ্যানটি ৬০০০ বছরেরও বেশি পুরনো। এত বছর ধরে এটি আগের মতই প্রাণবন্ত এবং সমৃদ্ধ রয়েছে। কিছু গাছ হাজার বছরের পুরনো। বিশেষত এত বছর ধরে এই অঞ্চলটি রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ ভালবাসা এবং শ্রম ছিল সেটিকে কেন্দ্র করে এই ধরনের অর্জন স্বাভাবিক।

আলখুদায়েরি বলেন, আল আহসায় ফলদায়ক খেজুর গাছের সংখ্যা ২৫ লাখ ছাড়িয়েছে। অনেক বাসিন্দা এই খেজুর গাছের ওপর নির্ভরশীল এবং সেগুলোর সর্বোচ্চ যত্ন নেন।

তিনি জানান, আল আহসার লোকেরা তাদের খেজুরের জন্য গর্ববোধ করে। এসব খেজুর গাছের বিভিন্ন অংশ দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে সরবরাহ করা হয়। আল আহসার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার জন্য এই খেজুর গাছগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আল আহসায় একটি খেজুর খামারের মালিক ও পরিচালক মুহাম্মদ আলমেলহেম বলেন, আমাদের হাতের তালুর সঙ্গে আমাদের খামারের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তারা আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় নেয়ামত। আমরা তাদের যত্ন নিই এবং তারা আমাদের দেখাশোনা করে।
তিনি জানান, আপনি এত মিষ্টি স্বাদের খেজুর পৃথিবীর কোথাও পাবেন না। এটি আমাদের পরিশ্রমের মাধ্যমে পেয়েছি। এগুলো খাওয়ার জন্যও সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ জায়গা এটি।

আলমেলহেম বলেন, তিনি আশা করেন যে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস দ্বারা স্বীকৃতি আরও বেশি লোককে এই অঞ্চলটি দেখার জন্য উৎসাহিত করবে, কারণ এখানে পর্যটকদের দেখার মতো অনেক কিছু রয়েছে।

বৈশাখী নিউজ/ফারজানা