ক্রিকেটার তাসকিন এবং রুবেলের উন্নতিতে সন্তুষ্ট কোচ রাসেল ডমিঙ্গো
তাসকিন আহমেদ এবং রুবেল হোসেন বাংলাদেশের জাতীয় দলের অসাধারণ মেধাবী দুইজন ক্রিকেটার । করোনার এই লম্বা সময়ে ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছেন তাসকিন আহমেদ। নিজেকে আমূল বদলেছেন এই পেসার। উন্নতি হয়েছে রুবেল হোসেনেরও। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপেই দেখিয়েছেন সেই চিত্র। এই দুই পেসারে মুগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। এমনকি অন্যসব পেসারদের উন্নতিতে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন টাইগার এই কোচ।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন রাসেল ডমিঙ্গো। যেখানে রুবেল, তাসকিন, সৈয়দ খালেদ আহমেদের মতো পেসারদের ফিটনেসের উন্নতি নিয়ে কথা বলেন ডমিঙ্গো। জানিয়েছেন, ক্রিকেটারদের এই নিবেদনের জন্য কোনো প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।
টাইগার হেড কোচের ভাষ্যে, ‘গত ছয়-সপ্তাহে ছেলেরা যা কাজ করেছে, কোনো প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। তাসকিনের শরীরের দিকে তাকান, দেখুন রুবেল কীভাবে ছুটছে এবং খালেদ ফিরে এসেছে বড় এক চোট থেকে। ফিটনেস নিয়ে ছেলেরা অনেক পরিশ্রম করেছে। আমরা চেষ্টা করছি ওদের স্কিলের উন্নতি করাতে এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেন পারফর্ম করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে।’
তবে সব পেসারদের মধ্যে ডমিঙ্গোর আলাদা করে নজর কেড়েছেন তাসকিন আহমেদ। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের আগে থেকে তাসকিনে মুগ্ধতার কথা জানিয়েছিলেন ডমিঙ্গো। তাসকিন প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে সেটার যথার্থতা প্রমাণ করেছিলেন তাসকিন। ছন্দে আছেন প্রেসিডেন্টস কাপেও।
তাসকিনকে নিয়ে ডমিঙ্গো বলেন, ‘তাসকিন সবচেয়ে বড় যে কাজটি করেছে, ওয়ার্ক এথিক বদলে ফেলেছে। আগের চেয়ে এত বেশি পরিশ্রম করেছে। খুব ভালো শারীরিক অবস্থায় আছে এখন। এখন সে এক-দুই স্পেলের চেয়েও বেশি করতে পারে। তার পরের স্পেলগুলিও ছিল গতিময়, যা আমাদের জন্য সন্তুষ্টির। আমরা এটা নিশ্চিত করায় জোর দিচ্ছি, ছেলেরা যেন সকাল ১০ টা আর বিকেল ৫টায় একই গতিতে বল করতে পারে।’
এবারের প্রেসিডেন্টস কাপে স্পিনারদের চেয়েও বেশি ভালো করছেন পেসাররা। ছন্দে আছেন, ব্যাটসম্যানদের ভোগাচ্ছেন, উইকেট নিচ্ছেন। আর ফাস্ট বোলারদের এই উঠে আসাটাই চাইছিলেন ডমিঙ্গো। এই কোচ বলেন, ‘আমরা গত সাত-আট মাস থেকে বলে আসছি, আমরা কিছু তরুণ ফাস্ট বোলার গড়ে তুলতে চাই। এখন আমাদের কাছে ফাস্ট বোলারদের একটা ভালো গ্রুপ আছে, যারা খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলক ক্রিকেট খেলে। আমাদের এখন ছয়-সাতজন ভালো বোলার আছে, যারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো করতে পারে।’
এবারের প্রেসিডেন্টস কাপে খুব বড় স্কোর করতে পারছে না কোনো দল। এটা যতটা না ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা, তার চেয়েও বোলারদের সফলতা বলে মানতে চান এই প্রোটিয়া কোচ। তিনি আরও যোগ করেন, ‘সাধারণত প্রতিপক্ষ দল ২৮০ রান করলে আমরা বলি, বোলাররা খারাপ করেছে। আবার ১৮০ রানে অলআউট হলে বলি ব্যাটসম্যান খারাপ খেলেছে। কিন্তু আমি মনে করি, বোলাররা ভালো করেছে। গত দুই সপ্তাহে বোলাররা দারুণ করছে, এটা দলের জন্য ইতিবাচক।’
বৈশাখী নিউজ/ফারজানা