বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনাল আজ

সময়: 1:15 pm - October 25, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 4 বার

মাহুমদউল্লাহ রিয়াদ ভাগ্যের কথা বলেছিলেন ফাইনালে উঠেই। কেন-ই বা বলবেন না। তাদের ফাইনালে উঠার চাবি তো ছিল তামিমদের হাতে। তামিমরা যদি নিজেদের শেষ ম্যাচে জিতে যেতেন মাহমুদউল্লাহরা সেই রাতেই হোটেল থেকে চেক আউট হতেন। তামিমরা জেতেননি। নাজমুলরা জিতে মাহমুদউল্লাহদের সঙ্গে নিয়ে উঠেছেন বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনালে।

শুক্রবার হওয়ার কথা ছিল পঞ্চাশ ওভার ফরম্যাটের এ ফাইনাল। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ায় বিসিবি ফাইনাল পিছিয়েছে দুইদিন। আজ দুপুর দেড়টায় মিরপুরে মাঠে গড়াবে নাজমুল ও মাহমুদউল্লাহ একাদশের ফাইনাল। বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাশাপাশি ম্যাচটি সরাসরি দেখা যাবে ফেসবুক ও ইউটিউবে।

আজও পুরো একশ ওভার খেলা হবে কিনা নিশ্চিত হয়। বৃষ্টির চোখ রাঙানি রয়েছে আজও। তবে দুই দল সেসব নিয়ে ভাবছেন কমই। নাজমুল হোসেন শান্তর দল পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ খেলেছে। ফাইনালেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ম্যাচটি উপভোগ করতে মুখিয়ে,‘ ‘ভালো লাগছে এরকম একটা টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলতে পেরে। আমরা সবাই এ টুর্নামেন্ট অনেক উপভোগ করেছি। আশা করছি ফাইনালেও ভালো কিছুই হবে।’

ভাগ্যের জোরে ফাইনালে উঠেলেও শেষটা রাঙাতে চান মাহমুদউল্লাহ,‘ফরচুনেটলি আমরা ফাইনাল খেলছি। একদিক থেকে ভালো লাগছে কারণ অনেক দিন পরে আমরা একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলছি। বিসিবির উদ্যোগে আমরা সবাই ভালো একটা টুর্নামেন্ট খেলছি এবং সেটার ফাইনাল খেলতে পারছি। আমরা সবাই মুখিয়ে আছি, ভালো ফাইনাল যেন খেলতে পারি।’

লিগপর্বে দুইবার নাজমুল একাদশের বিপক্ষে হেরেছে মাহমুদউল্লাহরা। এবার প্রতিশোধ নেয়ার মোক্ষম সময়। দুই দলের শক্তির জায়গা পেস বোলিং। ধারাবাহিক দুই দলের পেসাররা ভালো করে আসছেন। নাজমুল একাদশে রয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও আল-আমিন। মাহমুদউল্লাহর দলে রুবেল ও ইবাদত। চার ডানহাতি পেসার নিজ দলকে উইকেট সাফল্য ভাসাচ্ছেন। পাশাপাশি প্রতিপক্ষকে রাখছেন প্রবল চাপে।

দুই দলের উদ্বেগের জায়গা টপ অর্ডাররা। পেসাররা নতুন বলে ভালো করায় টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা রানই করতে পারেননি গোটা টুর্নামেন্টে। নাজমুলের দলের সৌম্য, মাহমুদউল্লাহর দলের লিটন গোটা টুর্নামেন্টে হেঁটেছেন ব্যাক গিয়ারে। দুই দলের ব্যাটিংয়ে মূল ভরসা মিডল অর্ডার। মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেন ধ্রুবর জমাট জুটি দুইবার দলকে বাঁচিয়েছে।

অন্যদিকে মাহমুদউল্লাহ ও নুরুল হাসান ছোট ছোট জুটি গড়ে দলকে খাদের কিনারা থেকে উদ্ধার করেছেন। শক্তিমত্তায় দুই দল প্রায় সমান। মাঠের লড়াইয়ে যারা এগিয়ে থাকবে তাদের হাতেই উঠবে স্বপ্নের শিরোপা। বড় ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেয়ার অভিজ্ঞতা নেই নাজমুলের। মাহমুদউল্লাহ এখানে খানিকটা এগিয়ে। তবুও নিজেদের দিনে তো সব কিছুই আসে পক্ষে। নাজমুল সেই অপেক্ষাতেই আছেন। মাহমুদউল্লাহদের একটাই চাওয়া,‘সব কিছু যেন পরিকল্পনামতোই হয়।’ নাজমুলের চাওয়া,‘পুরো টুর্নামেন্টে যেভাবে খেলেছি সেভাবেই খেলতে চাই।’

টুর্নামেন্টে ব্যাটসম্যানদের সংগ্রাম করতে হয়েছে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে মিরপুরের কভার উঠেনি। ফলে সূর্যর আর্দ্রতাও পায়নি। মন্থর উইকেটে আরেকটি লো স্কোরিং ম্যাচ হতে যাচ্ছে তা ধারণা করাই যায়। সেক্ষেত্রে মিরপুরের চিরাচরিত উইকেটেই হতে যাচ্ছে মাহমুদউল্লাহ ও নাজমুল একাদশের মহারণ। শেষ হাসিটা কে হাসে সেটাই দেখার।

মাহমুদউল্লাহ একাদশ: মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), নাঈম শেখ, লিটন দাস, মুমিনুল হক, মাহমুদুল হাসান, নুরুল হাসান, সাব্বির রহমান, ইমরুল কায়েস, আবু হায়দার, সুমন খান, ইবাদত হোসেন, রুবেল হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, রাকিবুল হাসান, আমিনুল ইসলাম।

নাজমুল একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন, মুশফিকুর রহিম, তৌহিদ হৃদয়, ইরফান শুক্কুর, পারভেজ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, আল আমিন হোসেন, আবু জায়েদ, মুকিদুল ইসলাম, নাঈম হাসান, নাসুম আহমেদ, রিশাদ হোসেন।

বৈশাখী নিউজ/ফারজানা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর