টিকা এলেই কী করোনা থেকে মুক্তি মিলবে? ব্যাখ্যা দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান

অনেকেই ভাবছেন করোনার টিকা এলেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া যাবে। কিন্তু সেটা কী আদৌ সত্য? এ বিষয়ে এবার মুখ খুললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস।

তিনি জানিয়েছেন, “আমাদের এখনও যে উপায়গুলো আছে, সেগুলোর আরও পরিপূরক হয়ে উঠবে টিকা। তবে সেই উপায়গুলোকে একেবারে পাল্টে দেবে না।”

একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যকর্মী, প্রবীণ মানুষ এবং ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে করোনা টিকা প্রদান করা হবে। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এর ফলে মৃতের সংখ্যাও কমবে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও কিছুটা মজবুত করা যাবে।”

টিকা আবিষ্কার হলেও সতর্কতায় কোনও ফাঁক রাখা যাবে না বলে সতর্ক করেছেন তিনি। টিকা আসার পরও সংক্রমণের যথেষ্ট সুযোগ থাকবে বলে দাবি করেন তিনি। তাই নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন তিনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান বলেন, “মানুষকে তারপরও পরীক্ষা করতে হবে, নিভৃতবাসে থাকতে হবে, চিকিৎসা করতে হবে, (করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা মানুষদেরও) খুঁজে বের করতে হবে। মানুষের দেখভাল করতে হবে।”

এরই মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের প্রাথমিক তথ্য থেকে মর্ডানা দাবি করেছে, ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’ মর্ডানার সম্ভাব্য করোনা টিকা ৯৪.৫ শতাংশ কার্যকরী হয়েছে। মার্কিন সংস্থার সিইও স্টিফেন ব্যানসেল বলেন, “এই তৃতীয় পর্যাযের গবেষণার ইতিবাচক মূল্যায়ন প্রথমবার তার বৈধতা দিয়েছে যে আমাদের টিকা যে কোভিড-১৯ রোগকে রুখতে পারবে।”

তার থেকেও বেশি আত্মবিশ্বাসী বার্তা শোনান মর্ডানার প্রেসিডেন্ট স্টিফেন হগে। সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমরা একটা টিকা পেতে চলেছি। যা কোভিড-১৯-কে রুখতে পারে।”

অন্যদিকে, বায়োএনটেক সংস্থার কর্ণধার প্রফেসর উগুর সাহিন মুখ খুলেছেন এই বিষয়ে। উৎপাদনকারী সংস্থা ফাইজার-এর সঙ্গে যৌথভাবে টিকা তৈরি করছে ওই সংস্থা।

ড. সাহিন জানিয়েছেন, এবছরের শীতটা খুব সতর্ক হয়ে কাটাতে হবে। পরের বছরের মাঝামাঝি সময়ে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ততদিন পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, মাস্ক পরার মত বিষয়গুলো মেনে চলতে বলেছেন তিনি।

তার দাবি, টিকা এনে সংক্রমণ একধাক্কায় অর্ধেক হয়ে যাবে। তার ফলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমবে অনেকটাই।

ফাইজার নিয়ে ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে সাফল্যের কথা সম্প্রতি এসেছে সামনে। ৯০ শতাংশ সদর্থক মনোভাব নিয়ে এই টিকাকে ঘিরে আশা দেখছে বিশ্ব। এমন এক পরিস্থিতিতে এসেছে আমেরিকার পরিকল্পনার বার্তা। জানা যাচ্ছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে আমেরিকায় টিকা প্রয়োগ করতে শুরু করবে ফাইজার। মার্কিন স্বাস্থ্য সচিব এ বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি

বৈশাখী নিউজ/ জেপা