সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়, এখনো প্রতিপালন করে চলেছি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট: November 19, 2020 |

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে শান্তির সংস্কৃতি চালু করেছেন এবং ১৯৩টি দেশ তা গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, শান্তির সংস্কৃতির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো মানুষে মানুষে শ্রদ্ধাবোধ বাড়ানো। বঙ্গবন্ধু ছিলেন অত্যন্ত শান্তি প্রিয়। তার আদর্শ অনুসরণ করে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে অনেক বছর ধরে প্রথম স্থান ধরে রেখেছে। বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি ছিল ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়’, যা আমরা এখনো প্রতিপালন করে চলেছি।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর অন্যতম দর্শন ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। দল-মত নির্বিশেষে মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ছিল তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের একটি বড় দিক। বঙ্গবন্ধু সবসময় মানুষকে সবচেয়ে বেশি সম্মান দিয়েছেন ও ভালোবেসেছেন এবং আমরা তার পদাঙ্ক অনুসরণ করছি। শোষিত মানুষের পক্ষে তিনি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়েছেন। ভাষা আন্দোলন, ৬ দফাসহ সব আন্দোলন তিনি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে করেছেন। বঙ্গবন্ধু শুধু সোনার বাংলার স্বপ্নই দেখেননি, তিনি সেই স্বপ্ন মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন হলো আজকের বাংলাদেশ।

ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ হওয়ায় স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু কৃষির ওপর জোর দেন। স্বাধীনতার পরপরই তিনি ২৬ হাজার স্কুল সরকারিকরণ করেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। দেশের উন্নয়নের জন্য স্বাধীনতার পরপরই তিনি ৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন, দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান কাজী শোয়েবুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন এবং সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট অজয় দাশগুপ্ত।

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর