অদ্ভুত কারণে সন্তান চান না নারীরা, উদ্বিগ্ন তাইওয়ান সরকার!

আপডেট: November 29, 2020 |

বেবি স্ট্রলার পোষ্যকে বসিয়ে পার্কে বা বাড়ির পাশের সরু গলিতে হাঁটছেন নারীরা। তাইওয়ানের তাইপে শহরে এটি সাধারণ দৃশ্য। পোষ্যদের সাজগোজ করিয়ে ঘুরতে বের হন নারীরা। এবং এই প্রবণতা এতটাই বেড়ে গেছে যে বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন সরকার।

জন্মহার কমে যাচ্ছে তাইওয়ানে। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে কম জন্মহারের দেশ তাইওয়ান। ‌বংশবৃদ্ধি ‌এবং সন্তান জন্ম দেওয়া‌কে এখন ‘‌ওল্ড স্কুল’ মানতে শুরু করেছেন তারা। পরিবর্তে কুকুর-বিড়ালের মতো প্রাণী পোষার প্রবণতা বেড়ে গেছে সেখানে।

তাইপে শহরের ড্যান ফরেস্ট পার্কে ‌পোষ্য নিয়ে ঘুরছিলেন এক দম্পতি। সিরিন এবং হ্যান। সিরিন বলেন, সন্তান চাই না। খরচ বেশি। দায়িত্ব বেশি। তার চেয়ে কুকুরই ভাল। সন্তান মানুষ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

তাইওয়ানে জন্মহার কমে যাওয়ার একমাত্র কারণ পোষ্য পালনে ঝোঁক বেড়ে যাওয়া নয় অবশ্য। বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিয়ের আগে সন্তান জন্ম নিয়ে এখনও ছুৎমার্গ রয়েছে সে দেশে। দেরিতে বিয়ে করার প্রবণতা বড় কারণ। এছাড়াও সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে নানারকম অর্থনৈতিক বাধার পাশাপাশি কয়েকদিনের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটি পান নারীরা।

গত সেপ্টেম্বরের তথ্য বলছে, তাইওয়ানে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের তুলনায় পোষ্যদের সংখ্যা বেশি। চাহিদা বাড়তে থাকার কারণে পোষ্যদের জিনিসপত্রের বাজারও ফুলেফেঁপে উঠছে। বিক্রি ২০০২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে পাঁচগুণ বেড়েছে। বিকল্প পণ্যের চাহিদা বাড়ায় বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন বেবি স্ট্রলার প্রস্তুতকারী একটি সংস্থার মুখপাত্র।

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর