ম্যারাডোনার সঙ্গে সাক্ষাতের সেই স্মৃতি কখনও ভুলব না: নেইমার

পুরো বিশ্বকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনা। ২৫ নভেম্বর আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কিংবদন্তি ফুটবলার ম্যারাডোনা। তবে আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তিকে এখনও স্মরণ করে চলেছেন বর্তমান সময়ের ফুটবলাররা।

এবার তেমন এক স্মৃতির কথা জানালেন নেইমার। বুধবার (০২ ডিসেম্বর) রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে জোড়া গোল করে পিএসজিকে জয় এনে দেওয়া তারকার কাছে এখনও অমলিন হয়ে আছে ছিয়াশিয়ার মহানায়কের সঙ্গে ছোটবেলায় সাক্ষাৎ হওয়ার এক স্মৃতি।

তখন অবশ্য ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড আজকের সুপারস্টার নেইমার হয়ে ওঠেননি। সান্তোসের হয়ে কেবল নিজের প্রতিভার কথা জানান দিচ্ছিলেন। সে সময় তিনি দেখা পান ম্যারাডোনার। তাও কাকতালীয়ভাবে। ‘ফুটবল ঈশ্বর’ এর সঙ্গে সাক্ষাতের সেই স্মৃতি নেইমার জানিয়েছেন ইলেভেন স্পোর্টস নামের এক ক্রীড়ামাধ্যমকে।

পিএসজি ফরোয়ার্ড বলেন , ‘আমার সঙ্গে ম্যারাডোনার খুব কম সাক্ষাৎ হয়েছে। তবে আমি কখনও ভুলব না যখন আমি ১২ কি ১৩ বছরের, সেই সময়ের স্মৃতি। আমি তখন কেবল সান্তোসের হয়ে শুরু করেছি এবং ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার মধ্যকার সাবেক খেলোয়াড়দের এক প্রীতি ম্যাচ ছিল। ব্রাজিলিয়ানদের টিম বাস সম্পূর্ণই ভরে গিয়েছিল। যার কারণে আমি তাদের সঙ্গে যেতে পারছিলাম না। তাই তারা আমাকে আর্জেন্টিনার বাসে তুলে দেয়। সেখানে দুজন সবার মধ্যমণি হয়ে ছিলেন। কারণ তারা প্রথম সিটে বসেছিলেন। তাদের একজন আলেহান্দ্রো মানকুসা এবং আরেকজন ম্যারাডোনা।’

নেইমার আরও বলেন, ‘তারা আমাকে তাদের পাশে বসতে দিলেন এবং আমার প্রতি খুব সদয় ছিলেন। যখন আমরা স্টেডিয়ামে পৌঁছলাম, তারা আমাকে আর্জেন্টিনার লকার রুমে নিয়ে গেলেন এবং সেখান থেকে মাঠে। এমনকি আমি ম্যারাডোনার সঙ্গে ছবিও তুলেছিলাম। তিনি আমাকে ছবি তোলার জন্য ডেকেছিলেন, আমি কখনও তার সেই ইশারা ভুলবো না। নিশ্চিতভাবে, মাঠে তিনি ছিলেন সবার আদর্শ। এবং আমার জন্যও। তবে আমি ওনাকে সবসময় একজন অ্যাথলেট এবং একজন ফুটবলার হিসেবে সম্মান করি। আমি তা কখনও ভুলব না। ’

বৈশাখী নিউজজেপা