নিউজিল্যান্ডের সামনে শীর্ষস্থানের হাতছানি

ম্যাচ জিততে পঞ্চম তথা অন্তিমদিন প্রয়োজন ছিল বিপক্ষের ৭ উইকেট। ২৭ বল বাকি থাকতে সেই কার্যসিদ্ধি করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বে ওভালে টেস্ট নিজেদের নামে করে নিল নিউজিল্যান্ড। ১০১ রানে জিতে দু’ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল কিউয়িরা।

অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসের শতরানে ভর করে বে ওভালে প্রথম ইনিংসে ৪৩১ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। জবাবে জেমিসন-সাউদিদের দাপটে পাকিস্তানকে ২৩৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে প্রথম ইনিংসে ১৯২ রানের বড় লিড নেয় উইলিয়ামসন অ্যান্ড কোং। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে অতিথি দেশকে আরও ১৮০ রানের বোঝা চাপিয়ে দেয় কিউয়িরা। ম্যাচ জয়ের জন্য চতুর্থদিন ৩৭৩ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। কিন্তু শূন্য রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বেকায়দায় পড়ে যায় পাক দল।

এরপর দলীয় ৩৭ রানের মাথায় ফিরে যান হ্যারিস সোহেল। ৭১ রানে ৩ উইকেট খুঁইয়ে চতুর্থদিনের খেলা শেষ করে পাকিস্তান। অন্তিমদিন ম্যাচ জয়ের জন্য ফেভারিট হয়েই মাঠে নামে ব্ল্যাক-ক্যাপসরা। দলীয় ৭৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩৮ রানে বোল্টের বলে ওয়াটলিংকে ক্যাচ দিয়ে দিনের প্রথম উইকেটটি ছুঁড়ে দিয়ে আসেন আজহার আলি। টপ-অর্ডার আত্মসমর্পণ করার পর পঞ্চম উইকেটে ফাওয়াদ আলম এবং অধিনায়ক মোহম্মদ রিজওয়ানের ১৬৫ রানের মূল্যবান পার্টনারশিপে একসময় ম্যাচ বাঁচানোর সম্ভাবনা তৈরি হয় পাকিস্তানের। শতরান করেন (১০২) ফাওয়াদ। অর্ধশতরান (৬০) আসে রিজওয়ানের ব্যাট থেকে।
কিন্তু ২৪০ রানের মাথায় জেমিসন পাক অধিনায়ককে লেগ বিফোর উইকেট করার পর ফের ধসে যায় পাক ব্যাটিং। কোনক্রমে পঞ্চমদিনের বাকি সময়টা কাটাতে হত পাক টেল-এন্ডারদের। কিন্তু রিজওয়ান আউট হওয়ার পর শতরান পূর্ণ করে ইনিংস দীর্ঘায়িত করতে পারেননি ফাওয়াদও। ফলে শেষদিকে ম্যাচ বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় পার্টনারশিপও আর গড়ে ওঠেনি। কিউয়ি বোলারদের দাপটে পঞ্চমদিন ৪.৩ ওভারের খেলা বাকি থাকতেই ২৭১ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। জেমিসন নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। সাউদি-বোল্টের ঝুলিতে দু’টি করে উইকেট।

হ্যাগলে ওভালে ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু নিউ ইয়ার টেস্ট। ওই টেস্ট ড্র রেখে সিরিজ জিততে পারলেই আইসিসি র‍্যাংকিং’য়ে শীর্ষস্থান দখল করবে কিউয়িরা। তবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে চলতি অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজে যে দল জিতবে, তাদের কাছে সুযোগ থাকছে কিউয়িদের ফের টপকে যাওয়ার।

বৈশাখী নিউজজেপা