‘আফগানিস্তান ছাড়লে সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতা কঠিন হয়ে পড়বে’
মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান ছাড়লে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতা কঠিন হয়ে পড়বে। এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের জেনারেল কেনেথ ফ্র্যাংক ম্যাকেঞ্জি জুনিয়র। মঙ্গলবার প্রতিনিধি পরিষদের সশস্ত্র বাহিনী কমিটির কাছে নিজের এমন মতামত দেন তিনি।
জেনারেল ম্যাকেঞ্জি বলেন, ‘তালেবানের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত তারা কী করে। যদি তারা আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চায়, তাহলে তাদের চুক্তি মেনে চলতে হবে।’
তিনি জানিয়েছেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর প্রতিবেশী কোনও দেশে গোয়েন্দা রাখার বিকল্প ভাবনা যুক্তরাষ্ট্র খতিয়ে দেখছে। তাহলে সেনা প্রত্যাহারের পরও দেশটির পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা যাবে। সেক্ষেত্রে কোনো বিপদ এলে দ্রুত তার মোকাবিলা করা যাবে।
ভবিষ্যতে সন্ত্রাসবিরোধী মিশনের সম্ভাব্যতা সম্পর্কে কমিটিকে অবহিত করার ম্যাকেঞ্জি বলেন, ‘বিষয়টিকে আমি হালকা করে দেখাতে চাই না। রঙিন চশমা পরিয়ে বলতে চাই না সব কিছুই সহজ।’
ম্যাকেঞ্জি জানান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনকে এ মাসের শেষ নাগাদ তাকে সব ধরনের বিকল্পের কথা জানাতে বলা হয়েছে।
শীর্ষস্থানীয় এই জেনারেল আইনপ্রণেতাদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে তার সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের পর যদি নতুন কোনও ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী হুমকি মোকাবিলার জন্য দেশটিতে, এমনকি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যও আবার যেতে চায় তা হলে তাকে প্রচণ্ড বাধার সম্মুখীন হতে হবে।
মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার অংশবিশেষের দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন বাহিনীর এই কমান্ডার এমন সময়ে এই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করলেন যখন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনীকে দেশে ফেরানো নিয়ে কাজ করছেন কর্মকর্তারা।
অন্যান্য কর্মকর্তারাও সম্ভাব্য সমাধানের দিকে নজর রাখছেন। সদ্য সাম্প্রতিক আমেরিকান গোয়েন্দা বিভাগের মূল্যায়নে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো সেনাদের অনুপস্থিতিতে আফগানিস্তানে শান্তির সম্ভাবনা কমে আসবে।
গত বছর তালেবানদের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ১ মের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেয় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বলে আসছিল ১ মের সময়সীমা পূরণ করা কঠিন হবে।
পরে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর সেনা প্রত্যাহারের ডেটলাইন নির্ধারণ করা হয়।
বৈশাখী নিউজ/ জেপা