‘বিচ্ছেদের পরও সম্মানবোধ ও যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে’

আপডেট: July 5, 2021 |

আমির খান ও কিরণ রাও গতকাল রবিবার একটি গণমাধ্যমের লাইভ সাক্ষাৎকারে যৌথভাবে অংশ নিয়ে তারা জানান, ‘বিচ্ছেদের পরও তাদের মধ্যে সামান্য পরিবর্তন ছাড়া নিজেদের প্রতি সম্মানবোধ ও যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে।’

‘আপনাদের হয়তো খারাপ লেগেছে। ভালো লাগেনি, চমকে গেছেন। আমরা আপনাদের শুধু এটাই বলতে চাই যে, আমরা অনেক খুশি এবং আমরা একটি পরিবার। আমাদের সম্পর্কে পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু আমরা একে অপরের পাশেই আছি,’এসময় ভক্তদের উদ্দেশে আমির বলেন।

আমির ও কিরণ যৌথভাবে গড়ে তুলেছেন পানি ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘পানি ফাউন্ডেশন আমাদের কাছে আজাদের (তাদের সন্তান) মতো। এটাকে আমরা সন্তানের মতোই লালন করব। আজাদ এবং ফাউন্ডেশনের জন্য আমরা সব সময় পরিবার হয়েই থাকব।আমাদের জন্য দোয়া করবেন, আমরা যেন সব সময়ে সুখে থাকতে পারি।’

 

 

এদিকে, বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও আমির-কিরণের সুন্দর সম্পর্কের বিষয়টি মুগ্ধ করেছে নেটিজেনদের। বিচ্ছেদ মানেই ঘৃণা কিংবা কাদাছোড়াছুড়ি নয়- সেটা ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিলেন তারা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে আমির ও কিরণ জানিয়েছেন, ‘এই ১৫ বছর ধরে হাসি-মজায় আমরা বহু স্মরণীয় মুহূর্ত কাটয়েছি। বিশ্বাস, সম্মান ও ভালোবাসায় আমাদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এবার আমরা জীবনের আরও এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে চাই। তবে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে নয়, অভিভাবক এবং পরস্পরের পরিবার হিসেবে।’

প্রসঙ্গত, আমিরের জীবনে কিরণের ১৫ বছর আগে আবির্ভাব হয়েছিল। তখন আমির খান-রীনা দত্তের সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। শেষপর্যন্ত ২০০২ সালে রীনা দত্তের সঙ্গে আমিরের ১৬ বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক ভেঙে যায়। এক সাক্ষাৎকারে আমির নিজেই জানিয়েছিলেন ‘লগান’ ছবিতে কাজ করার সময়ই তার কিরণের প্রথম আলাপ। ছবিতে আশুতোষ গোয়ারিকরের সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করছিলেন কিরণ। ২০০৫ সালে কিরণ রাওয়ের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হন অভিনেতা। ২০১১ সালের ২৫ নভেম্বরে সারোগেসির মাধ্যমে জন্ম হয় তাদের প্রথম সন্তান আজাদ খানের।

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর