অ্যাসাঞ্জের নাগরিকত্ব বাতিল করল ইকুয়েডর

আপডেট: July 29, 2021 |
print news

ব্রিটেনের কারাগারে বন্দি উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের নাগরিকত্ব বাতিল করল ইকুয়েডর।

সোমবার দেশটির সাংবিধানিক আদালতের এক রায়ের পর এ সিদ্ধান্ত নেন আদালত। ২০১৮ সালে ইকুয়েডরের পূর্ববর্তী সরকার তাকে নাগরিকত্ব প্রদান করেছিল।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইকুয়েডরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দেশের বিচার বিভাগ অ্যাসাঞ্জকে জানাচ্ছে তার নাগরিকত্বের মূল আবেদনে অসামঞ্জস্যতা, ভিন্ন স্বাক্ষর এবং অর্থ অপরিশোধিত রয়েছে।

অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী কার্লোস পোভেদা জানান, যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া এবং অ্যাসাঞ্জকে সরাসরি হাজির হওয়ার অনুমতি ব্যতীতই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নাগরিকত্ব বাতিলের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এতে তার অধিকার খর্ব করা হয়েছে এবং যথাযথ প্রক্রিয়া ব্যতীতই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২০১২ সালে সুইডেনে ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের মামলায় গ্রেফতার এড়াতে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন অ্যাসাঞ্জ। সাত বছর সেখানে থাকার পর ইকুয়েডরের তৎকালীন লেনিন মরেনো সরকার তাকে নাগরিকত্ব প্রদান করে।

কিন্তু সম্প্রতি দেশটিতে দুই দশক পর প্রথম ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট আসার পরই ইকুয়েডরের সঙ্গে অ্যাসাঞ্জের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। ২০১৯ সালে ইকুয়েডর সরকার তার আশ্রয় বাতিল করার পর এপ্রিলে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে জামিনের শর্ত লঙ্ঘন করার অভিযোগে গ্রেফতার করে।

তখন থেকেই লন্ডনের উচ্চ নিরাপত্তা সংবলিত বেলমার্স কারাগারে আছেন তিনি। সামরিক এবং কূটনৈতিক নথি ফাঁস করায় যুক্তরাষ্ট্রের আদালত তার বিরুদ্ধে ১৭টি গুপ্তচরবৃত্তি এবং একটি কম্পিউটার অপব্যাবহারের মামলা করেছে।

যদি তিনি দোষী প্রমাণিত হন তবে কমপক্ষে ১৭৫ বছরের জেল হবে। জানুয়ারিতে ব্রিটেনের নিম্ন আদালত তাকে যুক্তরাষ্ট্রে বহির্সমর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে।

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর