কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে জুবায়েরের চ্যালেঞ্জ?
ঢাকা মহানগর দক্ষিন ছাত্রলীগের একটি থানার সভাপতির বহিস্কারাদেশ তুলে নেয়ার ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন সংগঠনটির মহানগর সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ। এ নিয়ে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের কামরাঙ্গীচর থানা সভাপতি মো. পারভেজ হোসেন বিপ্লবেব বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক সিদ্ধান্ত মোতকাবেক জানানো যাচ্ছে যে, মো. পারভেজ হোসেন বিপ্লব এর নিজ আবেদনের প্রেক্ষিতে তার ওপর আরোপিত সাময়িক বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হলো।’
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বহিস্কারাদেশ তুলে দেয়ার তথ্য সঠিক নয় জানিয়ে এর বিরোধিতা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের বক্তব্য দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আহমেদ।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের অন্তর্গত, কামরাঙ্গীরচর থানা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি, মোঃপারভেজ হোসেন বিপ্লবের নামে কে বা কাহারা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ উল্লেখিত যে চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে, এটি সম্পর্কে আমি কোন ভাবেই অবগত নই।’
“৩১ জুলাই তারিখে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের কোন সভা অনুষ্ঠিত হয়নি এবং কোন চিঠি কিংবা প্রেস প্রকাশিত হয়নি। তাছাড়া গত দুদিন যাবৎ আমি শারীরিকভাবে অসুস্থতা জনিত কারনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রয়েছি। সংগঠনের বিরুদ্ধে এমন দুঃসসাহসিক জালিয়াতি কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।”
পোস্টে তিনি আরো লিখেন, ‘একজন অছাত্র, মাদকসেবী, বিবাহিত ব্যক্তি কখনই ছাত্রলীগের পদ পেতে পারেন না। সবাইকে বিভ্রান্ত না হবার অনুরোধ করছি।’
জানতে চাইলে জুবায়ের এ সম্পর্কে বলেন, বিপ্লবের বহিস্কারাদেশ তুলে দেয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমার ইউনিটের একজনের বহিস্কারাদেশ তুলে দেয়ার বিষয়টি অবশ্যই আমি জানবো। চিঠির বিষয়েও আমি কিছু জানি না। আমাকে জানানো ছাড়া কিভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। আমি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দায়িত্বে যারা আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, কোনো বহিস্করাদেশ প্রত্যাহার হয়নি।’
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, ‘এখানে লুকোচুরি করার কিছু নেই। কেন্দ্র থেকে যে চিঠি দেয়া হয়েছে সেটা কেন্দ্রীয় সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে জিজ্ঞেসা করলেই পাবেন। আপনারা সত্যটা তুলে ধরুন।’
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এ সম্পর্কে কথা বলতে রাজি হন নি।