রাজধানীতে হবে আরও পাঁচ মেট্রোরেল

দীর্ঘ এক দশক অপেক্ষার পর আজ বুধবার খুলছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল পথের একাংশ। রাজধানীর যানজট নিরসনে ২০৩০ সালের মধ্যে আরও পাঁচটি মেট্রোরেল লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এরইমধ্যে পাতাল-উড়াল সমন্বয়ে এমআরটি-এক নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ছয়টি মেট্রোরেল চালু হলে ঢাকায় প্রতিদিন ৫০ লাখ মানুষ যাতায়াত করতে পারবেন। ঢাকার পাশাপাশি মেট্রো তৈরির পরিকল্পনা আছে চট্টগ্রামেও।
দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হলো মেট্রোরেল। কমলাপুর পর্যন্ত চালু হবে ২০২৫ সালের জুনে। এরইমধ্যে এমআরটি-১’র ডিপোর ভূমি উন্নয়ন চুক্তি হয়েছে। এটি বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৬.২১ কিলোমিটার ভূ-গর্ভস্থ ও নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত ১১.৩৬ কিলোমিটার উড়াল।
সাড়ে বায়ান্ন হাজার কোটি টাকার এমআরটি-১ শেষ করার পরিকল্পনা আছে ২০২৬ সালে। এই রুটে ১২টি পাতাল এবং ৯টি উড়াল স্টেশন থাকবে। আট কোচ বিশিষ্ট ২৫ সেট ট্রেন চলবে এই পথে। প্রতিটি ট্রেনের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা হবে ৩ হাজার ৮৮ জন। বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর যেতে মাত্র ৩৪ মিনিট, নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল ২০ মিনিটে এবং কমলাপুর থেকে পূর্বাচল যেতে সময় লাগবে ৩৫ মিনিট।
২০২৮ সালে ভূগর্ভস্থ মেট্রোরেলের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ৮ লাখ যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবেন। ২০৩০ সালের মধ্যে পরিকল্পনার ছয়টি মেট্রো রেল চালু হলে ৫০ লাখেরও বেশি যাত্রী প্রতিদিন যাতায়াত করতে পারবেন।
মেট্রোরেল লাইন-৫ এর নর্দান রুট সাভারের হেমায়েতপুর থেকে শুরুর পর মিরপুর ১০ নম্বর ও গুলশান হয়ে ভাটারা যাবে। মেট্রোরেল লাইন-৫ সাউদার্ন রুট গাবতলী থেকে মিরপুর রোড ধরে পান্থপথ, হাতিরঝিল, রামপুরা, আফতাবনগর থেকে দাশেরকান্দি গিয়ে থামবে।
লাইন-২ শুরু হবে গাবতলী থেকে। এরপর বছিলা, ঝিগাতলা, নিউমার্কেট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, গুলিস্তান, মুগদা হয়ে চট্টগ্রাম রোডে গিয়ে শেষ হবে। এমআরটি লাইন-৪ হবে কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত।