নাটোরে পাওনা টাকা আদায়ে কিশোরকে বেঁধে নির্যাতন


ইমাম হাছাইন পিন্টু নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুররে বর্গালিজের টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় বর্গাচাষির কিশোর ছেলে শাওন ইসলামকে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনার মূল হোতাসহ অজ্ঞাত ১০ জনের বিরুদ্ধে শনিবার (১১ মার্চ) থানায় মামলা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের চলনালী গ্রামের মুন্নাফ হোসেন লোকজনসহ তার জমির বর্গাচাষি বেড়গঙ্গারামপুর গ্রামের কাবিল হোসেনের ছেলে শাওন (১৩) কে শুক্রবার সকালে বাসায় নিয়ে গিয়ে শিকলে বেঁধে নির্যাতন চালায়।
খবর পেয়ে শাওনের মা আরজিনা বেগম পুলিশের সহায়তায় ওই দিন বিকেলে শাওনকে মুন্নাফের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। শাওনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে গুরুদাসপুর থানায় মুন্নাফ হোসেনসহ অজ্ঞাত ১০ জনের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতন আইনে মামলা রুজু করেছেন ভিকটিমের মা আরজিনা বেগম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলনালী গ্রামের মুন্নাফ হোসেনের পাঁচ বিঘা জমি বছর চুক্তিতে লিজ নিয়ে পেয়ারার বাগান করেন কাবিল হোসেন। শুক্রবার সকালে কাবিলের ছেলে শাওন ওই বাগানে পেয়ারা সংগ্রহ করতে গেলে মুন্নাফ তাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শিকলে বেঁধে নির্যাতন চালায়। পরে বেলা ২টার দিকে থানা পুলিশের সহায়তায় কাবিলের ছেলেকে উদ্ধার করা হয়।
ছেলেকে নির্যাতনের ঘটনাটি অমানবিক দাবী করে কাবিল জানান, মুন্নাফের কাছ থেকে ১৭ হাজার টাকায় বছর চুক্তিতে পাঁচ বিঘা জমি পাঁচ বছরের জন্য লিজ নেন তিনি। দুই বছর পেয়ারার ফলন ভাল হয়নি। এ কারনে এক বছরের লিজের টাকা দিতে দেরি হয়। বকেয়া টাকা আদায় করার জন্যই তার ছেলেকে শিকলে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। মুন্নাফ অবশ্য নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে বলেন, লিজের টাকা দিতে বিভিন্নভাবে গড়িমসি করেন কাবিল। এজন্য কাবিলকে শাসানো হয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল মতিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে নিয়মিত মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিকে দ্রæত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।