ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর, দায়িত্ব পেলেন মনিরুজ্জামান


তারেকুজ্জান, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি: ফরিদপুর আঞ্চলিক কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুককে রোববার (১২ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ইসি সচিব জাহাংগীর আলমের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে অবসরে পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়, ফরিদপুরের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুককে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হলো।
চাকরি আইনের ৪৫ ধারায় বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ (পঁচিশ) বৎসর পূর্ণ হওয়ার পর যে কোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে, প্রয়োজনীয় মনে করলে কোনোরূপ কারণ না দর্শিয়ে তাকে চাকরি থেকে অবসর দিতে পারবে।
মোস্তফা ফারুক ১৯৯৬ সালের জুনে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যোগ দিয়েছিলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় তিনি নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ইটিআই ডিজি থাকাকালীন মোস্তফা ফারুকের বিরুদ্ধে ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তাঁকে ইটিআইয়ের ডিজি পদ থেকে বদলি করে ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা করা হয়েছিল।
ফরিদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানো হয়েছে, এটি তিনি রোববার বিকেলে জেনেছেন।
ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে এমন সময় অবসরে পাঠানো হলো যখন ফরিদপুর সদরের ১১টি ইউপিতে নির্বাচন ও মধুখালীর একটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী ১৬ মার্চ এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে।
আরেক নোটিশে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাজমুল কবীরের স্বাক্ষর করা প্রজ্ঞাপনে জানানো হয় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানকে কর্মস্থলে নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার দায়িত্ব (বিধি অনুযায়ী কার্যভার ভাতাসহ) ও আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তার ক্ষমতা প্রদান করা হলো।
তিনি ফরিদপুরে অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।