স্যাংশনও দেবে নিরাপত্তাও চাইবে এ কেমন কথা: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: October 6, 2023 |
inbound8233964442269196739
print news

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একদিকে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর স্যাংশন দেবে আরেকদিকে তাদের নিরাপত্তা চাইবে এটা কেমন কথা।

তিনি বলেন, আমেরিকায় আমাদের রাষ্ট্রদূতকে তেমন কোনো নিরাপত্তা দেয়া হয় না। অপরদিকে বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাসের জন্য ১৫৮ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা রয়েছে।

এছাড়া মার্কিন রাষ্ট্রদূতের জন্য রয়েছে আলাদা বডিগার্ড। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তার তেমন কোনো অভাব নেই। তবে হলি আর্টিজান হামলার পর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তার বাড়ানো হয়েছিল।

তবে বর্তমানে এমন কোনো অসুবিধা নাই এবং আমাদেরও পুলিশ দরকার তাই বাড়তি নিরাপত্তা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে।

শুক্রবার জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরের নানা দিক তুলে ধরতে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন। এদিন বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের নিজেদেরও কিছু দোষ আছে। যারা ভোট চুরি করেছে তাদের কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনতে হয়।

জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া সবই তো ভোট চোর। আওয়ামী লীগের হাত ধরে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়েছে।

এদেশের মানুষ জানে, নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নতি হয়েছে। মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছে। দারিদ্র বিমোচন হয়েছে।

শেখ বলেন, দেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি তোলে তখন বলতে হয়, সন্দেহ হয় রে।

যারা ভোট পাবে না, যাদের জনসমর্থন নেই। যাদের কোটি কোটি টাকা আছে, তারা বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হঠাৎ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে। যখন দেশে স্বৈরশাসন ছিল, আমরা সংগ্রাম করেছি। নির্বাচন ব্যবস্থার যে সংস্কার। ভোটার তালিকা প্রণয়ন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।

এটা আওয়ামী লীগই করেছে। আমাকে শেখাতে হবে না। একটানা আমরা ক্ষমতায় আছি বলেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেখানে অধিবেশন শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যে পৌঁছান তিনি। দুই দেশে মোট ১৬ দিনের সফর শেষে বুধবার (৪ অক্টোবর) দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর