ইন্ডিজেনিয়াস হামলার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিন্দা


জাবি প্রতিনিধি: এনসিটিবি ঘেরাও কর্মসূচিতে ইন্ডিজেনিয়াস শিক্ষার্থীদের উপরে ‘স্টুডেন্ট ফর সভেরেইনটি’ নামের একটি সংগঠন হামলা চালালে, হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী ইসাবা, জুয়েল মারাক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাবি শাখার নির্বাহী কমিটির সদস্য রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যাসহ আরো বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাবি শাখা।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর একটায় এনসিটিবির সামনে তাদের উপর হামলা চালায় । নকিব আল মাহমুদ অর্ণব স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে জানানো হয় ঘটনায় দায়ী সকলকে দ্রুততম সময়ে বিচারের আওতায় আনার জন্য রাষ্ট্রীয় সংস্থার কাছে আহবান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ একটি বহু ভাষাভাষী, বহু জাতির, বহু সম্প্রদায়ের দেশ। এদেশে দীর্ঘকাল ধরে সা¤প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় এখানকার জনমানুষের সংগ্রাম আছে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ইন্ডেজেনিয়াস জাতিগুলো তাদের স্বকীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে ধারণ করেই এদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেছে।
আমরা দেখেছি, ৭২ এর সংবিধান কিভাবে বাঙালি ব্যতীত অন্য জাতিসত্তাসমূহের অস্তিত্বকে অস্বীকার করেছিল। আমরা সেরকম কোনো ফ্যাসিবাদী কাঠামোর বাংলাদেশে ফিরে যেতে চাই না।
আমরা চাই সম্প্রীতি, আস্থা আর সহাবস্থানের বাংলাদেশ, যেখানে আমাদের সকলের মিলেমিশে থাকার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলেন, দেশের সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে প্রশ্ন তোলার আগে যারা আইনের প্রতি শ্রাদ্ধাশীল নয় তাদের ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।
স্টুডেন্ট ফর সভারেইনটির মত যারা জাতিবাদী আধিপত্যশীল মানসিকতাকে ধারণ করে, যারা বর্ণবাদী আচরণকে সমাজের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চায়, তাদের এ রাজনীতিকে আমরা ইনসাফ বিরোধী মনে করি।
সমাজে দায় ও দরদের রাজনীতি ছড়িয়ে দেবার আমাদের যে নিরন্তর সংগ্রাম তাতে এ ধরনের উগ্র জাতিবাদী আধিপত্যকে প্রশ্রয় দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।
অন্তবর্তীকালীন সরকারকে দ্রুততম সময়ে এসব বর্ণবাদী আচরণের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।