ঈদে বাড়ি ফেরা উৎসব নাকি আতঙ্ক

আপডেট: June 1, 2025 |
IMG 20250601 WA0011
print news

ঈদের ছুটিতে নাড়ির টানে বাড়ি যেতে রাজধানী ঢাকা ছাড়েন অসংখ্য মানুষ। স্বজন প্রিয়জনদের সঙ্গে কয়েক দিন উৎসবের আমেজে কাটাতে ঘরমুখো হন অনেকে। ফলে ট্রেন, লঞ্চ, বাস ও অন্যান্য বাহনে থাকে প্রচন্ড ভিড়। কিন্তু এই উৎসবমুখর ঈদযাত্রা দুর্ঘটনার কারণে হয়ে ওঠে শোকের। তাই ঈদ এলে ঘরমুখো মানুষের মধ্যে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরা নিয়ে উৎকণ্ঠা দেখা যায়। কারণ একটি দুর্ঘটনাই বয়ে আনে সারা জীবনের কান্না।

ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনার কারণ ও উত্তরণের উপায় তুলে ধরেছেন- মোঃ আল শাহারিয়া সুইট।

লক্কর ঝক্কর গাড়িতে রঙ চঙ করিয়ে রাস্তায় নামায়,অথচ মানের দিক দিয়ে শূন্য

অনিশ্চিত এজীবনে সড়ক দুর্ঘটনা যেন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার।আর এটা যখন ঈদে বাড়ি ফেরার পথে হয়,তখন পৃথিবীর সকল বিষাদকেই হার মানিয়ে দেয়।বাংলাদেশে এমনিতেই প্রতিনিয়ত অনেক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে,আর ঈদযাত্রায় যেন কয়েকগুণ বেশিই ঘটে।ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ হলো ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন। কিছু লোভী ও অসাধু ব্যবসায়ী এরজন্য প্রত্যক্ষভাবে দায়ী। তারা অতিরিক্ত লাভের আশায় যাত্রীর চাপকে কাজে লাগিয়ে লক্কর ঝক্কর গাড়িতে রঙ চঙ করিয়ে রাস্তায় নামায়,অথচ মানের দিক দিয়ে শূন্য। এসব যানবাহন তো ঝুঁকিপূর্ণই, উপরন্তু মাঝরাস্তায় নষ্ট হয়ে গেলে তা তীব্র যানজটেরও সৃষ্টি করে। আবার,অনেক অদক্ষ চালকের প্রতিযোগিতামূলক যাত্রাও সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড়ো কারণ।তাছাড়া, মাদকাসক্ত চালকের অনিয়ন্ত্রিত চালনা যেন ঈদযাত্রায় যাত্রীদের জন্য মরণফাঁদ!
এভাবেই ঈদযাত্রা সাধারণ মানুষের পঙ্গুত্বের কারণ হচ্ছে, মৃত্যুর কারণ হচ্ছে। এভাবেই চলছে বছরের পর বছর! কিন্তু, এর সুরাহা কোথায়?আর কতো দিন অদক্ষ চালকের অনিয়ন্ত্রিত চালনার বলিদান হবো আমরা?আর কতোজনকে অকালে জীবন দিতে হবে? আর কতোজন পঙ্গুত্ব বরণ করলে আমাদের টনক নড়বে??
এরপরেও কি ভূয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স কিছু টাকার বিনিময়ে কেনা যাবে?এসব কিছুর পিছনে শুধুমাত্র প্রশাসনের উদাসীনতা আর জন সাধারণ,চালক ও ব্যবসায়ীদের অসচেতনতাই দায়ী। যদিও গতো ঈদুল ফিতরে আমরা সড়ক দুর্ঘটনা,যানজট ও যাতায়াত ভাড়ার সিন্ডিকেট তুলনামূলক ভাবে কম দেখেছি। যাত্রাও তুলনামূলক সস্তির ছিলো।এ অবস্থায় আমাদের উচিত জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।যাতে কোনো চালকের মধ্যে অনিয়ম অথবা ত্রুটিপূর্ণ ও লক্কর ঝক্কর যানবাহনের সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করতে পারে। প্রশাসনের উচিত ত্রুটিপূর্ণ গাড়িগুলোকে নিষিদ্ধ করা, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা নেওয়া এবং মোবাইল কোর্ট অভিযানের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা।আর কোনো অপ্রত্যাশিত সড়ক দুর্ঘটনা না ঘটুক।কারো বাড়ি ফেরা দুঃসংবাদ না হোক।কারো ঈদ বিষাদময় না হোক।

খাতুনে জান্নাত রাকা
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ,
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি।

 

রাস্তার বেহাল দশা এবং ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতাও দুর্ঘটনার জন্য কম দায়ী নয়।

ঈদ এলেই শহর থেকে গ্রামের পথে মানুষের ঢল নামে। বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি—সবকিছুতেই উপচে পড়া ভিড়। এই সময়ে সড়কে শৃঙ্খলা প্রায় থাকেই না। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, ওভারটেকিংয়ের প্রবণতা, আর চালকদের বিশ্রামহীনতা দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। অনেক চালকই ঈদের বাড়তি যাত্রীর চাপ সামলাতে একটানা দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি চালান। এতে তাদের শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি আসে, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়।

এছাড়াও, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনও দুর্ঘটনার আরেকটি বড় কারণ। অনেক সময় ফিটনেসবিহীন লক্কড়ঝক্কড় গাড়িও যাত্রী পরিবহনে ব্যবহার করা হয়। এসব গাড়ির ব্রেক ফেল করা বা অন্য কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়া অস্বাভাবিক নয়। রাস্তার বেহাল দশা এবং ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতাও দুর্ঘটনার জন্য কম দায়ী নয়। অনেক যাত্রীও তাড়াহুড়ো করে ঝুঁকি নিয়ে গাড়িতে ওঠেন, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।

এছাড়াও, রাস্তার বেহাল দশা থাকলে দ্রুত সংস্কার করতে হবে এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। যাত্রীদেরও সচেতন হতে হবে; তাড়াহুড়ো পরিহার করে নিরাপদে যাতায়াত করতে হবে এবং অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে গাড়িতে ওঠা থেকে বিরত থাকতে হবে। মুন্সিগঞ্জের মতো গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলোতে ঈদের সময় অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা প্রয়োজন।

ঈদ যাত্রা হোক আনন্দময় ও নিরাপদ, এটাই সবার প্রত্যাশা।

নাম মাহফুজা স্বর্না
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

বেশি ট্রিপ সম্পন্ন করার প্রবণতা থেকে দূর্ঘটনা ও পরে প্রাণহানি হয়ে থাকে।

ঈদ যাত্রা বাংলাদেশের একটি বিশেষ সময়। বাংলাদেশ এ মুসলিম ধর্মাবলম্বী সংখ্যায় বেশি হওয়ায় পরিবার অর্থাৎ আপনজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে সকলের ই বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্য থাকে। এই সময় অনেক পরিবারে নেমে আসে বিষাদের ছায়া। যার অন্যতম কারণ সড়ক দুর্ঘটনা।এর পিছনে কিছু কারণ দায়ী। কারণগুলো:
১. অধিক যাত্রী: যেহেতু, শহরমুখী হয় মানুষ উপার্জন এর জন্য, এদের অধিকাংশই গ্ৰামমুখী‌। প্রত্যেকেরই নারীর টানে নিজগৃহে আপনজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করার আকাঙ্ক্ষা থাকে। সুতরাং, যাত্রী সংখ্যা বেড়ে যায়। বাস, ট্রেন, লঞ্চ ইত্যাদি যানবাহন এর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে যা দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।
২. অতিরিক্ত গতি: অন্যতম কারণ হলো চালকের দ্রুত গন্তব্য স্থানে পৌঁছানোর উদ্দেশ্য।
৩. চালকদের অসতর্কতা: যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় চালক অতিরিক্ত ট্রিপ করে থাকেন। যাতে সে বিশ্রাম এর সময় পায় না। ফলস্বরূপ, ক্লান্তি অথবা অবসাদ কিংবা অসতর্কতা এর জন্য দূর্ঘটনা ঘটে থাকে।

এছাড়াও, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, লাইসেন্স বিহীন চালক, অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালক এইসব কারণগুলোর জন্য সড়ক দূর্ঘটনা সংগঠিত হয়।
ঈদের পর পর সময় সড়কগুলো কিছু টা ফাঁকা থাকে। নজরদারি জোরদার থাকলেও পরে কার্যক্রম শিথিল হয়ে পরে। এ কারণে দ্রুতগতিতে যানবাহন চলাচল বাড়ে। বেশি ট্রিপ সম্পন্ন করার প্রবণতা থেকে দূর্ঘটনা ও পরে প্রাণহানি হয়ে থাকে।
২০২৫ এর ঈদুল ফিতরের আগে- পরে ১৫ দিনে সড়ক দুর্ঘটনা হয় ৩৯৯ টি। দুর্ঘটনায় নিহত হয় ৪০৭ জন, আহত হয় ১৩৯৮ জন।
সুতরাং, আমাদের সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো মাথায় রেখে এর প্রতিকার করতে হবে এবং নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে। কারণ, একটি প্রাণ একটি পরিবারের অমূল্য সম্পদ।

সাদিয়া রহমান সিনহা
ইংলিশ ডিপার্টমেন্ট
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা একটা ট্র্যাজেডি

পানির অপর নাম যদি হয় জীবন, তবে এই দেশের বাস্তবতায় সড়কের অপর নাম নিঃসন্দেহে মরণ। কথাটা হয়ত শুনতে একটু কঠিন, কিন্তু বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার চিত্র দেখলে সেটাই যেন নির্মম বাস্তবতায় রূপ নেয়। একবার ভাবুন, যেখানে প্রতিদিন মানুষ ঘর থেকে বের হয় জীবনের প্রয়োজনে, সেখানে প্রত্যাবর্তনের নিশ্চয়তা যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয় তবে সেই পথ কি আর পথ থাকে? নাকি মরণফাঁদে পরিণত হয়?

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সড়ক দুর্ঘটনা যেন এক নিত্যদিনের ট্র্যাজেডি। এই ট্র্যাজেডি যখন ঈদ যাত্রার মত আনন্দঘন মুহূর্তে এসে ছায়া ফেলে, তখন তা শুধু দুর্ঘটনাই নয়, হয়ে ওঠে এক সামাজিক বেদনাকাব্য। ঈদ উৎসব মানেই পরিবার, প্রিয়জন ও শেকড়ের টানে শহর ছেড়ে গ্রামের পথে যাত্রা। এই যাত্রা আনন্দের, ভালোবাসার, মিলনের। কিন্তু যখন এই আনন্দযাত্রা পরিণত হয় মৃত্যুর মিছিলে তখন সমাজের বিবেক নাড়া দেয়।

ঈদের সময়কালে যাত্রীস্রোত কয়েকগুণ বেড়ে যায়। যাত্রীদের চাপে অতিরিক্ত গাড়ি রাস্তায় নামে। অনেক অস্থায়ী বা অযোগ্য চালক এই সময় বাস, মাইক্রোবাস, ট্রাক চালাতে বসেন। অতিরিক্ত লাভের আশায় গন্তব্যের সংখ্যা বাড়ানো হয়, ট্রাফিক নিয়ম তোয়াক্কা না করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পথ পাড়ি দেন চালকেরা। আবার অনেকে বাসে অতিরিক্ত যাত্রী তোলেন, গাড়ির মেরামত না করেই যাত্রায় নামেন। এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ভয়াবহভাবে বেড়ে যায়।
এছাড়াও মহাসড়কে চালকদের বেপরোয়া গতি, ট্রাফিক পুলিশের তদারকির ঘাটতি, রাস্তার খানাখন্দ এবং কিছু চালকের মাদকাসক্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোও বড় কারণ হিসেবে বিবেচিত। যাত্রীদের অনেকে নিজেরাও তাড়াহুড়ায় পড়ে নিরাপত্তার নিয়মকানুনকে গুরুত্ব না দিয়ে যানবাহনে ওঠেন। এই সামগ্রিক অরাজকতা গড়ায় দুর্ঘটনার পরিণতিতে।

প্রশ্ন উঠতে পারে এ অবস্থা থেকে মুক্তির পথ কোথায়?
সমাধান অবশ্যই আছে যদি রাষ্ট্রীয় আন্তরিকতা এবং জনসচেতনতা একত্রে কাজ করে।
১. পথের নিরাপত্তা জোরদার: মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে নিয়মিত সংস্কার এবং চিহ্নিত স্পটগুলোতে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন।
২. চালক প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স যাচাই: অদক্ষ চালকদের লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং প্রশিক্ষণ ছাড়া কোনো যানবাহন চালাতে দেওয়া যাবে না।
৩. পরিবহন মালিকদের দায়িত্ববোধ: অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া, গাড়ির ত্রুটিপূর্ণ অংশ না মেরামত না করেই রাস্তায় নামানো বন্ধ করতে হবে।

ঈদ মানে শুধুই নতুন পোশাক নয়, ঈদ মানে প্রিয়জনের আলিঙ্গন। সেই আলিঙ্গনের পূর্বশর্ত হল নিরাপদ যাত্রা। প্রতিটি প্রাণ অমূল্য—সে চালক হোক কিংবা যাত্রী। তাই সময় এসেছে আমাদের দায়িত্বশীলতা জাগ্রত করার। ঈদ আনন্দ যাতে অশ্রুজলে না ভেসে যায়, তা নিশ্চিত করতে হলে চাই সম্মিলিত উদ্যোগ।

মাহমুদুল হাসান মুন্না
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন

বাংলাদেশে ঈদ যাত্রার সময় সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পায়, যা বিভিন্ন অনলাইন সংবাদ প্রতিবেদন ও গবেষণায় উঠে এসেছে।  এই সময়ে মানুষের গ্রামে ফেরার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় সড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পায়, যা দুর্ঘটনার একটি প্রধান কারণ।

ঈদের সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য এবং যাত্রী হয়রানি চরমে ওঠে।  গণপরিবহনগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণে অনেক যাত্রী বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন।  এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যায়  ।

সড়ক দুর্ঘটনার আরেকটি বড় কারণ হলো মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচল।  জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ঈদে যাতায়াতকারী ব্যক্তিগত যানের চালকদের রাতে এসব সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালাতে হয়, যা দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ায়।  এছাড়া, জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকেরা এসব সড়কে দুর্ঘটনার শিকার হন  ।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বিভিন্ন সুপারিশ করা হয়েছে, যেমন মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান, ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা ইত্যাদি  ।

এই সমস্যাগুলোর সমাধানে সরকার, পরিবহন সংস্থা এবং সাধারণ জনগণের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।  নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সচেতনতা বৃদ্ধি, আইন প্রয়োগের কঠোরতা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন অপরিহার্য।

আফসানা জাহান তিশা
ইইই বিভাগ
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর