আগামী বছর থেকেই শহরকেন্দ্রিক অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শুরু হচ্ছে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা

আপডেট: June 14, 2025 |
inbound7999973054247173375
print news

শাহজাহান আলী,বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ অনি্ুমোদনের প্রায় দুই যুগ পর দেশের ৫৫ তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ববিপ্রবি)।

প্রাথমিক ভাবে ১৭জন কর্মকর্তা- কর্মচারী ও ৮টি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে বগুড়ার এ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।

নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক কুদরত-ই- জাহান আশা প্রকাশ করছেন, ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হব।

তবে এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্হায়ী ক্যাম্পাস চুড়ান্ত না হওয়ায় ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াও শুরু হয়নি।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অস্হায়ী ক্যাম্পাসেই আপাতত ববিপ্রবির কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ২০০১ সালে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন জাতীয় সংসদে পাস হয়।

এরপর ২০২৩ সালে আইনটি কার্যকরের অনুমোদন পায় মন্ত্রিসভায়।

সরকার এ পর্যন্ত দু’দফায় প্রজ্ঞাপন জারি করলেও দীর্ঘদিন যাবৎ বিষয়টি চিঠি চালাচালির গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ ছিল।

চলতি বছরের ৩ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক কুদরত-ই- জাহানকে ববিপ্রবির প্রথম উপচার্য হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এরপর থেকেই কার্যক্রমের গতি আসে এবং ইতিমধ্যে তিনি যোগদান করেছেন।

জানা গেছে, ২০০১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হওয়ার সময় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশে জামালপুর মৌজায় স্হায়ী ক্যাম্পাস স্হাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সদর উপজেলার নুরইলের বিল এলাকায় নতুন প্রস্তাব করে জেলা প্রশাসন।

সে সময় পস্তাবিত জায়গা পরিদর্শন করেন একাধিক মন্ত্রী। কিন্তু পরবর্তীতে এ বিষয়ে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।

এ বিষয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা বলেন, “বগুড়ার মানুষ শিক্ষিত, সংস্কৃতিমনা ও বিজ্ঞানমনস্কা।

বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের মধ্য দিয়ে বগুড়াবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন,”বিশ্ববিদ্যালয়ের স্হায়ী ক্যাম্পাস কোথায় হবে,তা এখনো চুড়ান্ত হয়নি।ফলে ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু কার যায়নি।

আপাতত অস্হায়ী ক্যাম্পাস থেকেই কার্যক্রম চালানো হবে।তবে কার্যক্রম পরিচালনা সহজ করতে শহরকেন্দ্রিক অস্থায়ী ক্যাম্পাস গঠনের চিন্তা করা হচ্ছে।”

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কুূরত-ই- জাহান বলেন,”প্রাথমিকভাবে ৮টি বিভাগ খোলা হবে এবং ১৭ জন কর্মকর্তা- কর্মচারী দিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে।

২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রমের মাধ্যমে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে বলে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর