আন্তর্জাতিক থ্রিজিরো ক্লাব-এ জায়গা করে নিলেন বেরোবির পাঁচ তরুণ

আপডেট: June 25, 2025 |
inbound4649883662034727165
print news

বেরোবি প্রতিনিধি: আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা করলো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)।

প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর প্রতিষ্ঠিত থ্রিজিরো ক্লাব-এর সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

নিবন্ধিত শিক্ষার্থীরা হলেন হাসেম বাঁধন (জিইএস -১০)জামিলুর রেজা শিফাত (জিইএস-১১) রৌশিন আলম রাফি (জিডিএস-১৪) রিফায়েত জেরিন আলম (জিইএস-১৪) ফারহানা ইমি (এমসিজে-১৫)

হাসেম বাঁধন বলেন -ছাত্রজীবনের শুরু থেকেই আমার একটি স্বপ্ন ছিল আমাদের রংপুর অঞ্চলের তরুণরা যেন শুধু স্থানীয় বা জাতীয় পর্যায়ে নয়, আন্তর্জাতিক পরিসরেও তাদের সক্ষমতা ও নেতৃত্ব প্রদর্শন করতে পারে।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষার্থী থ্রিজিরো ক্লাব-এর সদস্য হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

এটি শুধু একটি অর্জন নয়, বরং একটি নতুন পথের সূচনা, যেখানে শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবইয়ের সীমা ছাড়িয়ে বৈশ্বিক পরিবর্তনের সহযাত্রী ও নির্মাতা হয়ে উঠতে পারবে।

রিফায়েত জেরিন আলম জানান- থ্রিজিরো এর মেম্বার হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় আমি অত্যন্ত গর্বিত ও কৃতজ্ঞ।

এই সুযোগ আমার জন্য অনেক বড় এক প্রাপ্তি, যা টেকসই, সমতাপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।

আমাদের এই প্রতিশ্রুতিবদ্ধতাই—দারিদ্র্যহীন, বৈষম্যহীন এবং কার্বনমুক্ত একটি সুন্দর সবুজ ভবিষ্যৎ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে ইনশাল্লাহ ।

তারা সবাই এরাইস ফাউন্ডেশনের-এর সক্রিয় সদস্য এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।

থ্রিজিরো ক্লাব হল একটি বৈশ্বিক যুব প্ল্যাটফর্ম, যা কাজ করে তিনটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য সম্পদের একগুচ্ছতা (ধনকুবেরতা), শূন্য বেকারত্ব

বিশ্বব্যাপী ৪০টিরও বেশি দেশে ৪,৬০০-এর বেশি 3ZERO ক্লাব গঠিত হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্ম বিশ্বজুড়ে তরুণদের সংগঠিত করে, নেতৃত্ব, সামাজিক দায়িত্ব ও জলবায়ু সচেতনতায় তাদের যুক্ত করে।

এই পাঁচজন শিক্ষার্থী আগামী ২৯ জুন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিতব্য থ্রিজিরো কনভোকেশন ২০২৫-এ অংশগ্রহণ করবেন।

অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক যুব নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়, আইডিয়েশন চ্যালেঞ্জ এবং বৈশ্বিক উদ্যোগে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

এই অর্জন শুধু বেরোবির জন্য নয়, গোটা বাংলাদেশের তরুণ সমাজের জন্যও এক বিশাল অনুপ্রেরণা।

নেতৃত্ব, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, জলবায়ু সহনশীলতা এবং দারিদ্র্য হ্রাসে তারা ভবিষ্যতে কার্যকর অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর