শাহজাদপুরে অবৈধ পন্থায় চলছে রংধনু ও সপ্তবর্ণ মডেল স্কুলের কার্যক্রম


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবৈধ পন্থায় চলছে রংধনু ও সপ্তবর্ণ মডেল স্কুলের কার্যক্রম। লুফে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। দেখার কেউ নেই।
নিয়মনিতীর তোয়াক্কা না করে উপজেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধ পন্থায় চালাচ্ছে রংধনু ও সপ্তবর্ণ মডেল স্কুলের কার্যক্রম। কোচিং সেন্টারের নাম উল্লেখ করে চালিয়ে যাচ্ছে মডেল স্কুলের কার্যক্রম।
সরকারি নিয়মানুসারে একটি নতুন স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য স্কুলটি অবশ্যই একটি ট্রাস্ট, সোসাইটি অথবা বেসরকারি কোম্পানির অধীনে নিবন্ধিত হতে হবে।স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে নিবন্ধন ও অনুমোদন নিতে হবে।
রংধনু ও সপ্তবর্ণ মডেল স্কুলের সরকারিভাবে কোন অনুমোদন নেই। অনুমোদন না নিয়ে নিজেদের ইচ্ছামত চালাচ্ছে মডেল স্কুলের কার্যক্রম।
এ স্কুলদ্বয়ের মালিকগন ৬ষ্ট থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত কোচিং সেন্টারের নামে রিতীমতো চালাচ্ছে স্কুলের কার্যক্রম।
জানা যায়, সরকার অনুমোদিত উচ্চবিদ্যালয় গুলিতে ৬ষ্ট থেকে দশম শ্রেনীর সকল শিক্ষার্থীদের সরকার অনুমোদিত অন্য স্কুলে ভর্তি করিয়ে রংধনু ও সপ্তবর্ণ মডেল স্কুলে কোচিং সেন্টারের নাম করে স্কুলের নিয়মেই চলছে পাঠদান ও পরিক্ষা।
উন্নত শিক্ষার নামে শিক্ষার্থীর অভিবাবকদের নিকট থেকে লুফে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
শাহজাদপুর পৌর শহরে শাহজাদপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয়সহ সরকারি নিবন্ধিত প্রায় ৫ টি হাই স্কুল থাকলেও এই ছোট্ব শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অবৈধ স্কুল।
এদের মধ্যে রংধনু ও সপ্তবর্ণ স্কুলের বানিজ্যে সবার শীর্ষে। শিক্ষার্থীদেরকে আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তার মধ্যে অন্যতম পরিকল্পনা হলো হেলিকপ্টারে করে শিক্ষার্থীদের ভ্রমন করানো।
যে কারনে শিক্ষার্থীরা নিম্নবৃত্ত পরিবারের সদস্য হওয়া সত্তেও পিতা- মাতাকে বাধ্যে করছে ওই স্কুলদ্বয়ে ভর্তী করতে। ব্যায়বহুল খরচ হওয়ার ফলে বিপাকে পরছে নিম্নবৃত পরিবারের অভিবাবকগন।
পৌর শহরে সরকার অনুমোদিত আরও যে ৫টি উচ্চবিদ্যালয় রয়েছে সে সকল বিদ্যালয়ের মাসিক বেতন ফি নাগালের মধ্যে থাকলেও রংধনু ও সপ্তবর্ণ স্কুলের নিয়ম- কানুন ও স্কুলদ্বয়ের মালিকদের শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার কিছু পরিকল্পনা যেন এদেশের রাজধানীতে অবস্থিত নামী-দামী স্কুলকেও হারমানায়।
যার ফলে শিক্ষার্থীরা এই দুই স্কুলে লেখা পড়া করার সপ্ন দেখে। আর ই সুযোগে শিক্ষার্থীদের অভিবাবকদের পাঠার বলি বানিয়ে লুফে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
একটি মফস্বল শহরে সপ্তবর্ণ ও রংধুর মতো এ ধরনের ব্যায়বহুল খরচের স্কুলের প্রয়োজন না হওয়া সত্তেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিয়ম নিতীর তোয়াক্কা না করে এই দুই স্কুল চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা বানিজ্যে।
এ ঘটনায় এলাকার সূধীমহল এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে রংধনু স্কুলের মালিক ও প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলাম শাহীন দাপটের সাথে বলেন, আমার স্কুল সরকার অনুমোদিত না তবে আমার স্কুল বন্ধ করতে হলে বাংলাদেশের অবৈধ ১ লক্ষ স্কুল বন্ধ করতে হবে।
এ ব্যাপারে সপ্তবর্ণ মডেল স্কুলের পরিচালক মঈন উদ্দিন কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে বলেন, আপনারাতো সবই জানেন আরো জানতে চাইলে তথ্য সংগ্রহ করুন।
এ ঘটনায় উপজেলা মাধ্যেমিক শিক্ষা অফিসার এস এম শাহাদত হোসেন বলেন, এ বিষয়ে ইউএনও স্যার আমাকে তদন্তের ভার দিয়েছেন আমরা তদন্ত করেছি অতিদ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।