পিএসজিকে হারিয়ে ১২ তম জয় পেল বার্সেলোনা

আপডেট: October 22, 2020 |
print news

বার্সেলোনা কাল রাতে ফাইনালে ইউরোপ-সেরা হওয়ার লড়াই দুর্দান্তভাবে শুরু করেছে পিএসজিকে হারিয়ে । গত আগস্টে কোয়ার্টার ফাইনালে লিওনেল মেসির বার্সেলোনাকে ছারখার করে ৮ গোল দেওয়া বাভারিয়ান ক্লাবটি এবার আরেক স্প্যানিশ ক্লাব আতলেতিকো মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে হারিয়ে শুরু করেছে চ্যাম্পিয়নস লিগ। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসরে বায়ার্নের এটি টানা ১২ তম জয়।

সর্বশেষ ফাইনালে যার গোলে নেইমারদের হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বায়ার্ন সেই কিংসলি কোমান গত রাতেও নায়ক দলের জয়ে। ঘরের মাঠে ম্যাচের দুই অর্ধে দুটি গোল করেছেন ফরাসি উইঙ্গার। বায়ার্নের অন্য দুটি গোল জার্মান মিডফিল্ডার লিওন গোরেৎস্কা ও ফরাসি মিডফিল্ডার করেনতাঁ তোলিসোর।

চ্যাম্পিয়নস লিগ বা ইউরোপিয়ান কাপে সর্বশেষ ৪০ বছরে শুধু রিয়াল মাদ্রিদ ও এসি মিলানেরই শিরোপা ধরে রাখার ইতিহাস আছে। বায়ার্নের নামটি এবার সেই তালিকায় যোগ হলে অবাক হওয়া কিছু নেই। বাজিকর প্রতিষ্ঠানের হিসেবেও এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে টপ ফেবারিট বায়ার্ন।

ম্যাচের আগের দিন একটা দুঃসংবাদ শুনেছিল বায়ার্ন। ফর্মে থাকা উইঙ্গার সার্জ নাবরি করোনা পজিটিভ। কাল সেই নাবরির কোনো অভাবই টের পেল না বায়ার্ন। উল্টো দিয়েগো সিমিওনের আতলেতিকো হয়ে পড়ল দিশেহারা।

চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি ধরে রাখার অভিযানটা সহজ জয় দিয়ে শুরু করার পর বায়ার্নের কোচ হান্সি ফ্লিক শুধু দলের প্রশংসাই করলেন, ‘আমরা কী দুর্দান্ত ম্যাচ খেললাম আজ রাতে। কাজটা কঠিন ছিল তবে আমরা এমন খেলা রপ্ত করে ফেলেছি। মাঠে আমরা আজ খুবই কার্যকরী ফুটবল খেলেছি, আমি পুরোপুরি তৃপ্ত। প্রথম ম্যাচ জেতাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

২০২০ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও বুন্দেসলিগাসহ পাঁচটি শিরোপা জিতেছে বায়ার্ন। জার্মান চ্যাম্পিয়নরা কাল আতলেতিকোর বিপক্ষে প্রতিটি বলের জন্যই লড়াই করেছে। দলটির কোচ ফ্লিক জানালেন তাঁরা সব সময়ই বলের দখল রাখতে চেয়েছেন, ‘আমরা সব জায়গাতেই ছিলাম। ওয়ান টু ওয়ান পরিস্থিতিতে বলের দখল নিতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের একটা পরিকল্পনা ছিল আর আমরা সেটি প্রয়োগ করে চারটি সুন্দর গোল বের করে এনেছি।’

প্রতিপক্ষ কোচ সিমিওনে বুঝতেই পারছেন ঠিক কী কারণে তাঁর দল এতগুলো গোল হজম করল, ‘আমি জানি না আমরা কী বড় ভুল করেছি না তারা (বায়ার্ন) ভাগ্যের ছোঁয়া পেয়েছে। আমরা খুব করে চাইছিলাম একটি গোল করতে, ফিনিশিং ভালো হলে হয়তো পেয়েও যেতাম। একটি গোল তো অফসাইড হলো। প্রতিপক্ষ একদম নিখুঁত ছিল, আর ওটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’

সিমিওনের সময়ে এর আগে মাত্র একবারই ৪-০ গোলে হেরেছিল আতলেতিকো। দু বছর আগে আরেক জার্মান দল বরুসিয়া ডর্টমুন্ড দিয়েছিল সেই লজ্জা।

কাল ম্যাচটি নিয়েই একটু সংশয় ছিল। নাবরির করোনা ধরার পর বুধবার সকালে বায়ার্নের পুরো দলটির আবার পরীক্ষা করানো হয়। তাতে সবাই নেগেটিভ হওয়ার পরই ম্যাচ সময় মতো শুরুর অনুমতি দেয় উয়েফা।

 

বৈশাখী নিউজ/ফারজানা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর