অনলাইন ভেটেরিনারি হাসপাতাল ডিজিটাল বাংলাদেশে নতুন অধ্যায়ের সূচনা: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

আপডেট: October 25, 2020 |
print news

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, “অনলাইন ভেটেরিনারি হাসপাতাল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশে আরেকটি নতুন অধ্যায়ের শুভ সূচনা। দুঃসময়ে শুধু মানুষের নয়, প্রাণীরও চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। প্রাণীদের হাসপাতালে নিতে না পারলেও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আধুনিক চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। অনলাইনে প্রাণিচিকিৎসার এ উদ্যোগ আমরা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দিয়েছি। সকল প্রাণীকে সেবা দেয়ার জন্য, তাদের চাহিদা পূরণের জন্য শেখ হাসিনা সরকার তৎপর ও কর্মক্ষম। অনলাইন প্রাণিসেবা প্লাটফর্মের মাধ্যমে তারই দৃষ্টান্ত।”

রবিবার (২৫ অক্টোবর) বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আদর্শ প্রাণিসেবা লিমিটেডের উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রাণিসেবা ভেট’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আদর্শ প্রাণিসেবা লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফিদা হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. নজরুল ইসলাম এবং ভেটেরেনিয়ান ও পরিবেশবিদ ডা. মো. আওলাদ হোসেন বক্তব্য প্রদান করেন।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সে স্বপ্ন দেখাকে অনেকেই একসময় ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ করেছেন। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ ব্যবস্থার প্রয়োজন কত বেশী সেটা আজ কোভিডকালীন চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি কত বাস্তবতাসম্পন্ন সেটা আজ দৃশ্যমান।”

ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদরাও এখন বাংলাদেশকে মডেল হিসেবে তুলে ধরছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “এ সাফল্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের। এর পেছনে বিভিন্ন সেক্টর কাজ করেছে। বিশেষ করে আমাদের প্রাণিসম্পদ সেক্টরের এক্ষেত্রে একটা বিশাল ভূমিকা রয়েছে। কোভিডকালীন উৎপাদিত ডিম, দুধ, মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের মাধ্যমে আমরা কোভিড মোকাবিলা করেছি। এ উদ্যোগের কারণে প্রাণিসম্পদ খাতে যে ভয়াবহ সংকটের আশঙ্কা করা হয়েছিলো, তা বাস্তবে দেখা যায়নি।”

মন্ত্রী আরো বলেন, “অনলাইনে প্রাণিসেবার উদ্যোগ সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। যাতে বেসরকারি খাতের অন্যরাও এ উদ্যোগ নিতে আগ্রহী হয়। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে।”

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর