আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা: বুয়েটের কর্মচারী ও সিকিউরিটি গার্ডের সাক্ষ্য গ্রহণ

আপডেট: November 26, 2020 |

বুয়েটের কর্মচারী কামরুল হাসান ও সিকিউরিটি গার্ড মো. মোস্তফা , বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করার মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে আজ বৃহস্পতিবার তারা সাক্ষ্য দেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। এরপর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

এ মামলায় মোট ৬০ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিলেন ৩৭ জন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ডেকে নেয় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

ওই ঘটনায় নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।

অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারনামীয় ১৯ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত এজাহারবহির্ভূত ৬ জন রয়েছেন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন এবং এজাহারবহির্ভূত ৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ৮ জন।
মামলার তিন আসামি এখনও পলাতক আছেন।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন আদালত এবং বিরতিহীন সাক্ষ্যগ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে গত ২০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বাদী আবরারের বাবা মো. বরকত উল্লাহ জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ থাকায় ওই সময় সাক্ষ্য দিতে পারবেন না বলে সময়ের আবেদন করেন। পরে বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৫ অক্টোবর দিন রাখেন। এদিন থেকেই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

বৈশাখী নিউজ/ বিসি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর