মা বাবার কবরের পাশে জা.বি অধ্যাপক তারেক শামসুর রেহমানকে দাফন

আপডেট: April 19, 2021 |

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও দেশের প্রখ্যাত রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. তারেক শামসুর রেহমান পিরোজপুরে মা বাবার পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০ টায় পিরোজপুর শহরের পুরাতন ঈদগাহ মাঠে মরহুমের জানাযা নামায অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় পিরোজপুরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃববৃন্দ, আইনজীবী, সাংবাদিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার মানুষ উপস্তিত ছিলেন।

জানাযা শেষে পিরোজপুর পৌর কবরস্থানে ড. তারেক শামসুর রেহমানের মা বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে।

পিরোজপুর শহরের উকিলপাড়া এলাকায় ১৯৫২ সালে জন্মগ্রহন করেন ড. তারেক শামসুর রেহমান। মরহুম এ্যাডভোকেট আতাউর রহমান ও শিরিন রহমানের বড় ছেলে ড. তারেক শামসুর রেহমান ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। ড. তারেক শামসুর রেহমানের স্ত্রী শ্যামলী রহমান ও একমাত্র মেয়ে অনামিকা রহমান যুক্তরাষ্টের ট্রেক্সাসে বসবাস করছেন। ৬ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে ড. তারেক শামসুর রেহমান সবার বড়। তার ছোট ভাই খালিদ শহিদুর রহমান মিঠু পিরোজপুরে সিনিয়র সাংবাদিক হিসেবে করর্মত আছেন।

শিক্ষা জীবনের শুরুতে ড. তারেক শামসুর রেহমানের পিরোজপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের থেকে ১৯৬৮ সালে এস এস সি পাশ করেন ও দক্ষিণ বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে ১৯৭০ সালে এইচ এসসি পাশ করেন, পরে তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ভর্তি হন। পিরোজপুরে পড়াশুনা করার পাশাপাশি দৈনিক পয়গাম ও দি পিপল পত্রিকার প্রতিনিধি এবং পিরোজপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ছিলেন।

ড. তারেক শামসুর রেহমানের ভাই শহিদুর রহমান মিঠু জানান, “ভাইয়ের স্ত্রী ও সন্তানের ইচ্ছায় প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছিল ঢাকায় দাফন করা হবে। কিন্তু আমার ভাইয়ের ইচ্ছা ছিল মা বাবার পাশে তাকে দাফন করা হবে। পরে সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা আমার ভাইয়ের লাশ ঢাকা থেকে পিরোজপুরে নিয়ে এসে পিরোজপুর পৌর কবরস্থানে বাব-মার কবরের পাশেই তাকে দাফন করি”। এর আগে শনিবার দুপুরে উত্তরা-১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউকের আবাসিক প্রকল্পের দোলনচাপা বিল্ডিংয়ের ১৩০৪ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে শামসুর রেহমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

বৈশাখীনিউজইডি

 

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর