প্রধানমন্ত্রী সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন: রেলমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের সিআরবিতে হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণের বিষয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে আসছেন। চট্টগ্রামের মানুষ যদি কোনো স্থাপনা না চান, তাহলে সেটা জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নুরুল ইসলাম সুজন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে কয়েকদিন আগে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে একটা অভিযোগ পেয়েছি। সেটা খতিয়ে দেখা হবে। অথচ আন্দোলন তার আগেই শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু কী নিয়ে আন্দোলন এ বিষয়ে এর আগে রেলওয়ে, রেলমন্ত্রী কিংবা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোনো দরখাস্ত দেওয়া হয়নি। দরখাস্ত বা অভিযোগ দেওয়ার পর যদি জোরপূর্বক কোনো কিছু করা হয়, তখন আন্দোলনের প্রশ্ন আসবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পগুলোর বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত হলো সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) উৎসাহিত করা। সরকারের যত প্রকল্প আছে নীতিগতভাবে এর ৩০ শতাংশ যাতে পিপিপি’র অধীনে বাস্তবায়ন করা যায়। স্থানীয় এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ উৎসাহিত করার জন্য সরকার সেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তারই আওতায় রেলওয়ের এ প্রকল্পটি রয়েছে।
তিনি বলেন, এ প্রকল্পের চুক্তি এবং যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া অনেক আগ থেকে শুরু হয়েছিলো। কিন্তু তখন কেউ এ নিয়ে আপত্তি তোলেনি। যখনই বাস্তবায়নের সময় আসল, তখনই আপত্তি শুরু হয়েছে।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, তাছাড়া এখানে অন্যকিছু হচ্ছে না, বরং হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজ হচ্ছে। কিন্তু একশ্রেণির মানুষ আছে, যাদের কাছে কোনো কিছুই ভালো লাগে না। কাজেই এ আন্দোলন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নাকি সত্যিই চট্টগ্রামের মানুষের স্বার্থে করা হচ্ছে। সেটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবেন।