আফগানিস্তানে ইইউ কূটনৈতিক মিশন পুনরায় চালু করবে
আফগানিস্তানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তাদের কূটনৈতিক মিশন আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার। গতকাল সোমবার ইইউ’র মুখপাত্র নাবিলা মাসরালি ঘোষণা করেন, আগামী একমাসের মধ্যে সীমিত পরিসরে কাবুলে নিজের কূটনৈতিক মিশন আবার চালু করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
তিনি দাবি করেন, ইইউ’র এ পদক্ষেপের অর্থ আফগানিস্তানের বর্তমান শাসন ব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দেওয়া নয়। নাবিলা মাসরালি বলেন, আফগানিস্তানের জনগণকে সাহায্য করার জন্য বাধ্য হয়ে আমাদেরকে তালেবানের সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে। ইইউ’র এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন তালেবানের উপ মুখপাত্র মোল্লা আহমাদুল্লাহ ওয়াসিক। তিনি বলেছেন, ইউরোপের এ সিদ্ধান্ত আফগানিস্তানের পাশাপাশি ইইউ’র জন্যও একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। ওয়াসিক আরো বলেন, ইইউ’র দপ্তর এবং তার সকল কর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে তালেবান।
গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করার পর বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের দূতাবাসের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নও কাবুলে তার রাজনৈতিক কার্যালয় বন্ধ করে দেয়। ইইউ তাদের কূটনীতিকদের কাবুলে ফেরত পাঠানোর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে কিনা তা যাচাই করার জন্য গতমাসে আফগানিস্তানে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল। তাদের মূল্যায়নের পরিপ্রেক্ষিতে কাবুলে ইইউ’র কার্যক্রম আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
আফগানিস্তানকে ১০০ কোটি ইউরোর সাহায্য দিতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে ইউনিয়ন মনে করে, তাদের নিজস্ব কর্মীর উপস্থিতি ছাড়া এই সাহায্য সঠিকভাবে আফগান সুবিধাভোগীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়।
সূত্র: ফিনান্সিয়াল টাইমস