কঙ্গোতে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত অন্তত ২২

আপডেট: November 30, 2021 |
print news

আফ্রিকার মধ্যাঞ্চলীয় দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) বন্দুকধারীদের হামলায় কমপক্ষে ২২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অনেক লোক। এতে হতাহতদের মধ্যে সবাই বেসামরিক নাগরিক।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) একজন সহায়তা কর্মী এবং অধিকার বিষয়ক সংগঠনের একজন নেতার বরাতে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। মিডিয়াগুলো জানিয়েছে, দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় অবস্থিত অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত সাধারণ মানুষের একটি ক্যাম্পে ওই হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল। যদিও ওই আক্রমণের ঘটনা ঠিক কবে নাগাত ঘটেছে সেটি এখনো জানা যায়নি।

কঙ্গোর রেডক্রসের কো-অর্ডিনেটর ম্যাম্বো বাপু ম্যান্স সোমবার এএফপিকে বলেন, নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের পর নিহত ২০ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে দুটি কবরস্থানে দাফন করা হয়। আক্রমণে আহত আরও দুজন পরে মারা গেলে তাদেরও একই কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে দেশটির ইতুরি প্রদেশের ওই একই ক্যাম্পে তাণ্ডব চালিয়েছিল বন্দুকধারীরা। প্রাণঘাতী ওই আক্রমণে ২৯ জন নিহত হয়েছিলেন। যদিও মানবাধিকার গ্রুপের প্রেসিডেন্ট চ্যারিট বানজা মৃতের সংখ্যা ২২ বলে জানিয়েছিলেন।

সর্বশেষ আক্রমণের পর চ্যারিট বানজা ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, দেশের এই অংশে অবস্থিত অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত সাধারণ মানুষের এই ক্যাম্পে এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোট তিনবার হামলার ঘটনা ঘটল। এই তিন হামলায় ৫০ জনের অধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এমনকি তাদের সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা কিভু সিকিউরিটি ট্র্যাকার (কেএসটি) আফ্রিকার এই অঞ্চলে সহিংসতা পর্যবেক্ষণ করে থাকে। কঙ্গোতে বন্দুকধারীদের আক্রমণ চালানো সর্বশেষ হামলায় নিহতের সংখ্যাটি তারাও নিশ্চিত করেছে।

অপর দিকে কঙ্গোর ইতুরি অঞ্চলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জুয়েলস এনগঙ্গো জানিয়েছেন, কোডেকো বিদ্রোহীদের বিতাড়িত করা হয়েছে। যদিও এর বেশি আর কোনো তথ্য জানাননি তিনি।

জাতিসংঘের তথ্য মতে, কঙ্গোর ইতুরি প্রদেশের জুগু অঞ্চলে ২০১৭ সাল থেকে চালানো একের পর এক আক্রমণে কোডেকো মিলিশিয়ার যোদ্ধারা শত শত বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে। এছাড়া হাজার হাজার মানুষকে তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতেও বাধ্য করেছে গোষ্ঠীটি।

উল্লেখ্য, ডিআর কঙ্গোর উত্তরের সীমান্ত লাগোয়া দেশগুলো হলো উগান্ডা, রুয়ান্ডা ও বুরুন্ডি। ওই অঞ্চলে শতাধিক সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০৩ সালে গৃহযুদ্ধ শেষ হলেও এখনো এ রকম আক্রমণের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। সূত্র: আল জাজিরা

বৈশাখী নিউজ/ ইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর