সুন্দরী প্রতিযোগিতা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

আপডেট: February 3, 2022 |
print news

কালো মেয়েদের হেয় করা একটি সামাজিক ব্যাধি। যে ব্যাধিতে আক্রান্ত সমাজকে নানাভাবে পরিবর্তন করতে চাইলেও সম্পূর্ণ পরিবর্তন আনা কখনো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন অনেক নারী।

বিকৃত চিন্তাভাবনার কিছু মানুষের কাছে গায়ের রং গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে মেধা বা দক্ষতার কোনো গুরুত্ব নেই! সম্প্রতি বিদেশি একটি সংবাদমাধ্যমে তেমন চিত্রই তুলে ধরেছেন ডে গার্ডনার। তিনি ১৯৭৭ সালে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে মিস আমেরিকার প্রতিযোগিতায় সেরা দশে জায়গা করে নেন।

প্রতিযোগিতায় যাওয়ার আগে মাকে এ ব্যাপারে জানান ডে গার্ডনার। কিন্তু তার মা নিরুৎসাহিত করেন। কারণ সত্তরের দশকে মার্কিন সুন্দরী প্রতিযোগিতায় শেতাঙ্গ মেয়েরাই জয়ী হতো। সে সময় শেতাঙ্গরাই এসব প্রতিযোগিতায় অংশ নিত।

গার্ডনারের বাবা বাস্তব সত্যিটা মেয়ের কাছে তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু মেয়েকে ভরসাও দিয়েছিলেন, চ্যালেঞ্জ নিতে বলেছিলেন। গার্ডনারের বাবা আরও বলেছিলেন, তোমার মা যা বলেছে সবই সত্যি। এখন যাও তোমার গাউনটা নিয়ে আসো।

৬৬ বছর বয়সে গার্ডনার এখনো মনে করেন সুন্দরী প্রতিযোগিতা কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সেরা দশে অংশ নিয়েও মৃত্যুর হুমকি পেয়েছিলেন তিনি। তার ভাষায়, সে সময়টি ছিল আনন্দ, ভয় আর বিরক্তির মিশ্রণ।

গার্ডনারের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন কয়েকজন সাবেক মিস আমেরিকা। তারাও মনে করেন, কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের জন্য সুন্দরী প্রতিযোগিতা অনেক বছর ধরেই একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর উদাহরণ ৩০ বছর বয়সী সাবেক মিস আমেরিকা চেসলি ক্রিস্টের আত্মহত্যা।

প্রতিযোগিতাগুলোতে পরিবর্তন আসলেও মানুষের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন আসেনি। ১৯৭৬ সালে গার্ডনার যখন মিস ডেলাওয়্যার জয়ী প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হন, তখনও অনেক প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হয়েছিল। নানাভাবে হেয় করা হতো কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের। গার্ডনারকে যখন মিস ডেলাওয়্যারের মুকুট দেওয়া হয়, তখন বোর্ডের সদস্যরা খুব বিরক্ত হয়েছিলেন।

ডে গার্ডনার আশা করেন, মানুষের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন আসবে। নিজেকে উপস্থাপন করাটাই আসল। অন্যের বাজে মন্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে নিজের জীবন নষ্ট করা কখনো উচিত না বলেও সাক্ষাৎকারে জানান ডে গার্ডনার।

সূত্র: ইনসাইডার

বৈশাখী নিউজ/  ইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর