তেলের দাম কমাতে পারে ইরান পরমাণু চুক্তি: আয়ারল্যান্ড

আপডেট: March 20, 2022 |
print news

ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জেরে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ববাজারে হু হু করে বেড়ে চলেছে জ্বালানি তেলের দাম। তবে ইরান পরমাণু চুক্তি নবায়ন করা গেলে তেলের দাম কমাতে পারে বলে মনে করছে আয়ারল্যান্ড। খবর আইরিশ টাইমস।

শনিবার (১৯ মার্চ) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিমন কভেনি বলেছেন, রাশিয়ার বিকল্প হতে পারে ইরান। যদি তেহরানের পরমাণু চুক্তিতে ফিরে আসা যায়, তবে উদ্ভূত সংকট কাটিয়ে ওঠা যেতে পারে।

ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাদের দেয়া নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বজুড়ে তেলের বাজারে প্রভাব পড়েছে। বিভিন্ন দেশে এরই মধ্যে তেলের দাম দুই থেকে তিন গুণ বেড়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সংকট সমাধান না হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।

এমন পরিস্থিতিতে হন্যে হয়ে বিকল্প উৎস খুঁজছে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে ইরান পরমাণু চুক্তিতে আশার আলো দেখছে পশ্চিমা নেতারা। আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কভেনি বলেন, ইরান পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত হলে তেলের বড় উৎপাদক দেশগুলোতে বাজারে আনা যাবে। এর ফলে তেলের দাম কমতে পারে।

২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের শক্তিশালী ছয় দেশের সঙ্গে ‘জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন’ (জেসিপিওএ) চুক্তি স্বাক্ষর করে ইরান যা ইরান পরমাণু চুক্তি নামেও পরিচিত।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর চুক্তিটি নিয়ে আপত্তি তোলেন। সেই সঙ্গে ২০১৮ সালের চুক্তি থেকে ওয়াশিংটনকে সরিয়ে নেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চুক্তিটিতে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে তেহরানের সঙ্গে চুক্তির অন্যান্য পক্ষগুলোর আলোচনা চলছে। চুক্তিটি পুনরুজ্জীবনের চেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন আয়ার‌ল্যান্ডের রাজনীতিক সিমন কভেনিও।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হলে বিশ্বব্যাপী বেড়ে যায় গ্যাস ও তেলের দাম। রাশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় তেল উৎপাদনকারী দেশ। দেশটি বিশ্বে প্রচুর গ্যাসও রপ্তানি করে থাকে। ইউক্রেনে হামলার পর ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ২০১৪ সালের পর প্রথমবারের মতো ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়৷

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করায় প্রতি ব্যারেলের দাম ওঠে ১৩৯ ডলারে, যা ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ৷ গত কয়েক দিনে তা আবার ১০০ ডলারের আশপাশে নেমে এলেও কমেনি বিশ্ববাজারে শঙ্কা আর অস্থিরতা৷

বিশ্লেষকরা বলছেন, জ্বালানি তেলের মূল্য না কমলে পরিবহন ব্যবস্থায় এর প্রভাব পড়ে নিত্যপণ্যসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়তে পারে। এতে করে সাধারণ মানুষ ক্রয় ক্ষমতা হারাবে। বিশ্বব্যাপী দরিদ্রতার মুখে পড়বে ৪ কোটি মানুষ।

বৈশাখী নিউজ/ বিসি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর