চমেক হাসপাতালে স্বজনদের আহাজারি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ২৩ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ শতাধিক মানুষকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

রোববার সকালে চমেক হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের ভেতরে দগ্ধরা আর্তনাদ করছেন। তাদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিবেশ। আহত-নিহতদের স্বজনদের কান্নার রোল হাসপাতালজুড়ে।

নিহতদের মধ্যে আছে, কারও বাবা, কারও ছেলে কিংবা কারও স্বামী ও নিকটাত্মীয়। হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি কেয়ারের সামনে ফরহাদ নামের একজন জানান, বিস্ফোরণের ঘটনায় তার চাচাতো ভাই মোমিনুল হক মারা গেছেন।

‘ফরহাদ; আমার সারা গায়ে আগুন। আমাকে বাঁচাও, আমাকে বাঁচাও’- সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের পর ফোন করে এভাবেই চাচাতো ভাই ফরহাদের কাছে বাঁচার শেষ আকুতি জানিয়েছিল মোমিনুল হক।

হাসপাতালের বারান্দায় দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন নুর উদ্দিন। তাকে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করছেন পাশে থাকা স্বজনরা।

নুর উদ্দিন জানান, তার ভাগিনা মো. হাবিবুর রহমান (২৩) মারা গেছেন সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে। দুর্ঘটনার সময় হাবিব ডিপোতে ছিলেন। পরে তার লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

এদিকে, চমেক হাসপাতালের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে আহত ও দগ্ধদের। সেখানেও আহতদের স্বজনদের চলছে আহাজারি।

অপরদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে নিখোঁজদের বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

নিখোঁজদের সন্ধানে অনেক স্বজন রাত থেকে খোঁজাখুঁজি করছেন চমেক হাসপাতালে। নিখোঁজের স্বজনরা মর্গে গিয়ে নিহতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু স্বজনদের খোঁজ পাননি তারা।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৩ জন মারা গেছেন।

বৈশাখী নিউজ/ ফাজা