শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশ

দেশের বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

মঙ্গলবার মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়।

জারিকৃত নির্দেশনায় বলা হয়, সাম্প্রতিক বন্যাকবলিত এলাকার দুর্গত মানুষের জন্য নিকটস্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, বন্যা পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠগুলোতে পাঠাগারের বই, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, বিজ্ঞানাগার ও কম্পিউটার ল্যাবরেটরির যাবতীয় সরঞ্জাম নিরাপদে সংরক্ষণ করতেও নির্দেশনা দেয়া হলো।

অন্যদিকে গত সোমবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির ভেরিভাইড ফেসবুক পেজে দেয়া একটি পোস্টে শিক্ষকদের নানা ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যন্ত অঞ্চলে আশ্রয়কেন্দ্র হবার মতো উপযুক্ত স্থাপনা। সেগুলো যেন সব মানুষের প্রয়োজনে এখন ব্যবহার হতে পারে, প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ স্থানীয় শিক্ষা প্রশাসন তা নিশ্চিত করবেন।

পোস্টে আরও বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র, কম্পিউটার সামগ্রী, ডিজিটাল শ্রেণীকক্ষের যন্ত্রপাতি এবং ল্যাবের সব কম্পিউটারসহ অন্যান্য সামগ্রী যেন এ সময়ে নিরাপদ থাকে এবং সেই সঙ্গে এর সুষ্ঠু সংরক্ষণ নিশ্চিত হয় তার ব্যবস্থা করবেন।

দীপু মনি বলেন, মনে রাখতে হবে যে, বন্যার পানি নেমে যাবার পরপরই এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে হবে। কাজেই প্রতিষ্ঠানের সম্পদের সুষ্ঠু সংরক্ষণ অতীব জরুরি।

সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে যত্নবান হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মানুষ মানুষের জন্য। আমরা বিজয়ী জাতি। সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে। এবারের বন্যায়ও আমরা আবার তা প্রমাণ করবো ইনশাআল্লাহ।

বৈশাখী নিউজ/ ইডি