আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছি : অর্থমন্ত্রী

আপডেট: July 27, 2022 |

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ঋণ চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, আইএমএফের কাছে আমরা অর্থ চেয়েছি। কিন্তু কত লাগবে আমরা সেটি বলিনি। তারা কী শর্তে ঋণ দিতে চাচ্ছে, যদি পজিটিভলি দেখি তাহলে আমরা হয়তো বিবেচনা করতে পারি।

বুধবার দুপুরে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

গত সপ্তাহে বলেছিলেন আইএমএফের ঋণ আপাতত প্রয়োজন নেই, দুদিন পরই গণমাধ্যমে এসেছে ঋণ চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে-এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বব্যাংকের কাছে যাব, জাইকায় যাব, সব জায়গায় সব সময় চেষ্টা করি আমাদের যে ঋণ প্রয়োজন তা ভালো ইন্টারেস্টে ও ভালো শর্তে নিতে।

আইএমএফ টিম এখানে এসেছিল, তারা প্রতিবছরই আসে। তারা অ্যানুয়াল কনসালটেশন করে, সেজন্য তারা এসেছে। সে সময় যদি বলি আমাদের টাকা দরকার, তখন তারা টাকা দিলেও ইন্টারেস্ট রেট বাড়ানোর সম্ভাবনা থাকে।

তিনি বলেন, আমরা বায়ার হিসেবে খুব ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করি। আমরা ভাব দেখাই আমাদের দরকার নেই, এটাই হলো মূল কথা। এটি দেশের ভালোর জন্য করা হয়েছে। এতে কোনো রকম টাকা-পয়সা নেওয়া হয়নি, দেন দরবার হয়নি। সুতরাং চিন্তার কোনো কারণ নেই।

আইএমএফকে দেওয়া চিঠিতে ঋণের পরিমাণ ৪.৫ বিলিয়ন ডলার উল্লেখ করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা কোনো অ্যামাউন্ট উল্লেখ করিনি। আপনি কোথায় পেয়েছেন, আমরা কী পরিমাণ ঋণ চেয়েছি? আমি তো চাইনি, তাহলে কে চাইতে পারে? এটা আমার মনে হয় ভুল বোঝাবুঝি। আমরা যা করব, আমরা যদি ঋণ নেই, সেক্ষেত্রে আমার দায়িত্ব আপনাদের ব্যাখ্যা দেওয়া। কারণ আমি সব সময় ব্যাখ্যা দিতে রাজি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি যদি বলি আমার দরকার, আমরা তো ডলার প্রিন্ট করি না। ডলার আমাদের অর্জন করতে হয়। আমরা ডলার অর্জন করি বিদেশের যে সমস্ত শ্রমিক ভাইয়েরা আমাদের ডলার পাঠিয়ে সাহায্য করছেন এবং যারা দেশ থেকে গিয়ে বিদেশে ব্যবসা বাণিজ্য করছেন, তারা আমাদের সেই ডলার বা বিভিন্ন কারেন্সি দিয়ে সাহায্য করে, তারাই আমাদের চালিয়ে নিচ্ছে। অল্প দিনের মধ্যে খারাপ কোনো অবস্থা হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা যখন অর্থনীতি ম্যানেজ করি, আমাদের কাছে বিভিন্ন পারসপেকটিভ দেখতে হয়। আমাদের ঋণ দরকার। আর কিছুদিন, এরপর ঋণ থাকবে না। আমরা তো বলেছিলাম ঋণ আমরা দেব। আমি আবারো বলি, আমরা ঋণ দিতে পারব।

আমার চাহিদা সবাই জানতে পারলে আমার ওপর খরচটা বেশি দেবে, সেজন্যই প্রয়োজন নেই বলেছি। এভাবেই আমাদের ম্যানেজ করতে হয়। ঋণের বিষয়টি যাতে কোনোভাবেই আমাদের বিপক্ষে না যায়। আমরা অর্থ চাই, আমরা বলেছি। কিন্তু কত লাগবে সেটি বলিনি।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর