বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর যুগে প্রবেশ করলো

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর যুগে প্রবেশ করেছে উল্লেখ করে বলেছেন, দেশের মেধাবী প্রকৌশলীদের মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে মেড ইন বাংলাদেশ চিপ রফতানি করে ১০ মিলিয়ন ডলার আয় করবে।

এ দেশের মেধাবী তরুণরা মেধা ও সৃজনশীলতায় কারো চেয়ে পিছিয়ে নেই তার অন্যতম উদাহরণ উল্কাসেমি।
তিনি বলেন, আইসিটি খাতের জন্য করমুক্ত সুবিধা ২০২৪ সাল থেকে বাড়িয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রস্তাব করা হবে। উল্কাসেমির বিকাশের জন্য স্টার্টআপ বাংলাদেশ তাদেরকে বিনিয়োগ দেবে বলেও জানান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রহমানস রেগনাম সেন্টারে দেশের খ্যাতনামা সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন কোম্পানি উল্কাসেমির ১৬ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ‘টেস্ট ল্যাব’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

পলক ২০০৮ এরপর ২০২৩ সালের বাংলাদেশে রাত-দিনের পার্থক্য উল্লেখ করে বলেন, আইসিটি বিভাগের এনহেন্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্পের মাধ্যমে ভবিষ্যতমুখী দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে ২০ হাজার বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজ্যুয়েটদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

এর মধ্যে ৪ হাজার জনকে দক্ষ করা হবে ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তিতে। পাশাপাশি ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিএলএসআই ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে। একইসঙ্গে অল্পদিনের মধ্যে ৩০০ মিলিয়ন ব্যয় করা সম্ভব না হলেও ১৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে আমরা অল্পদিনের মধ্যেই বুয়েটে একটি ন্যানো ল্যাব স্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উল্কাসেমি চেয়ারম্যান এনায়েতুর রহমান, উল্কাসেমি সিওও এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান টিটন ইলেকট্রনিকসের সিইও মিজানুর রহমান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম, আইপিডিসি ফাইন্যান্স চেয়ারম্যান ড. আব্দুল করিম, এফবিসিসিআই পরিচালক শাফকাত হায়দার চৌধুরী, স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

পরে প্রতিমন্ত্রী উল্কাসেমির ‘টেস্ট ল্যাব’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।