নোয়াখালীতে যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের সংঘর্ষে যুবলীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন। এই সংঘর্ষে কমপক্ষে আরও ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের নুরু পাটোয়ারির হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম মো. হানিফ (২৪), পিতা মফিজ উল্লা।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, মো. হানিফ যুবলীগ নেতা। তিনি এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে নুরু পাটোয়ারির হাট সংলগ্ন একটি বাড়িতে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বৈঠকে বসেন। এ সময় একই এলাকার আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের একদল কর্মী নৌকার পক্ষে স্লোগান নিয়ে বের হয়। মিছিলটি ওই বাড়ির দিকে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। একাধিক বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর হয়।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, নিহত হানিফের এক পায়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যকার সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা মো. হানিফ মারা গেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে বিএনপির নেতৃস্থানীয় কোনো ব্যক্তির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।