বগুড়া ড্রীম প্যালেসের ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট: March 16, 2023 |
Boishakhinews24.net 295
print news

শাহজাহান আলী, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বগুড়া সদরে অবস্থিত ড্রীম প্যালেস নামে এক আবাসিক হোটেল মালিকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পতিতাবৃত্তি ও মানবপাচার আইনে মামলা হয়েছে।

বুধবার ১৫ মার্চ দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে বগুড়া উপশহরের পুলিশ ফাঁড়ির উপ- পরিদর্শক(এসআই)হায়দার,
আলী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আবাসিক হোটেলের আডালে পতিতাবৃত্তি ও পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে আহবান জানানোর আভিযোগে ২০১২ সালের ১৩ ধারায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলায় হোটেল মালিক ইমাম রাসেল(৪০), ব্যবস্হাপক এমদাদুল হক মিলন (৩৮), কেয়ারটেকার মহিদুল ইসলাম (৩৫)কে আসামি করা হয়েছে।

এছাড়াও হোটেলে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে সুইট(২২),বর্ষা(২৬),বৃষ্টি (২৩),পুজা আর্জাজ,(২২),বৃষ্টি খাতুন(২৩),উজ্জল মিয়া(২৪),রিপন মিয়া(২৫) ও ফারুক শেখ(২৫)কেও মামলার আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে হোটেল মালিক ইমাম রাসেল ও ব্যবস্হাপক এমদাদুল হক মিলন পালাতক আছেন।

বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে জাতীয় পরিসেবা ৯৯৯ অভিযান পেয়ে শহরের ধরমপুর বাজারের ড্রীম প্যালেস আবাসিক হোটেল থেকে বাকিদেরকে আটক করা হয়। মামলা দায়েরের পর তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।

পুলিশের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, ১ নম্বর আসামি হোটেল মালিক ইমাম রাসেল তার আবাসিক হোটেল ড্রীম প্যলেসে দীর্ঘদিন যাবৎ পতিতাবৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।

এমন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাতে পুলিশ ওই আবাসিক হোটেলে অভিযান পরিচালনা করে পাঁচজন নারী ও তিনজন পুরুষকে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় গ্রেফতার করে। এসময় হোটেলের কেয়ারটেকার মহিদুল ইসলামকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে হোটালে অভিযানের সংবাদ পেয়ে মালিক ইমাম রাসেল ও ব্যনস্হাপক এমদাদুল হক মিলন পালিয়ে যায়।

বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী জানান,জাতীয় পরিসেবা “৯৯৯”এ অভিযোগ পেয়ে ওই আবাসিক হোটেলে অভিযান চালানো হয়। আবাসিক হোটেলের আড়ালে পতিতবৃত্তি ও পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে আহবানের অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করে আসামিদেরকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর