প্রতীক বরাদ্দের পর বিএনপির ১৮১ নেতাকর্মী গ্রেফতার

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসিচব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেছেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রতীক বরাদ্দের আগ পর্যন্ত প্রার্থীসহ বিএনপির ২ হাজার ১৭১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর প্রতীক বরাদ্ধের পর থেকে গ্রেফতার হয়েছেন ১৮১ জন।
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান তিনি।
রিজভী বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারি দলের সন্ত্রাসী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে ধানের শীষের প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের ওপর বেপরোয়া হামলা চালিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বাধা, এলাকা ছাড়ার হুমকি, হামলা চালিয়ে আহত করা ও গ্রেফতারসহ নানামুখী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ভাটারা থানাধীন ৪০নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কফিল উদ্দিনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার দিনগত রাত ৩টার সময় ডিবি পুলিশ হানা দিলে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে কফিল উদ্দিন বাসার ছাদে আত্মগোপন করে। এসময় ডিবি পুলিশ তার ছেলেকে পেয়ে চরম নির্যাতন করে। তারা কফিল উদ্দিনকে খুঁজতে খুঁজতে একপর্যায়ে বাসার ছাদে পেয়ে যায় এবং মারতে মারতে ছাদ থেকে ফেলে দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে।
বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, পুলিশের এই বর্বর আচরণ ও নৃশংসতার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিষ্ঠুরতা বন্য হিংস্রতাকেও হার মানিয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভরশীল বর্তমান শাসকগোষ্ঠীকে জনগণের কাছে তাদের প্রতিটি অপকর্মের জবাব দিতেই হবে।
এ সময় তিনি আরও অভিযোগ করেন, হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই বিএনপির নিজস্ব ওয়েবসাইটটি সরকার ব্লক করেছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে সরকার এখন বিরোধী দলের প্রযুক্তি ব্যবহারের অধিকারকেও হরণ করছে।