ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ব্যাপক হামলা
রাশিয়ার বিজয় দিবসের প্রাক্কালে কিয়েভ ও ইউক্রেনজুড়ে মিসাইল ও ড্রোন হামলা জোরদার করেছে মস্কো। সোমবার প্রথম প্রহরে কিয়েভের বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া কৃষ্ণসাগরীয় বন্দরনগরী ওডেসায় মিসাইল হামলায় পুড়ে গেছে একটি খাদ্যগুদাম।
মঙ্গলবার বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ১৯৪৫ সালে নাৎসি বাহিনীকে পরাজিত করার স্মরণে প্রতি বছর ৯ মে ‘বিজয় দিবস’ উদযাপন করে আসছে মস্কো। দিনটিতে মস্কোর ঐতিহাসিক রেড স্কয়ারে বিপুল সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শন করে রুশ সরকার। সেখানে প্রতিবছরই বিশেষ ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বিশেষ দিনটিকে কেন্দ্র করে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বাখমুতে গোলাবর্ষণের মাত্রা বাড়িয়েছে রুশ বাহিনী। অবরুদ্ধ শহরটির প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকা ইউক্রেনের এক শীর্ষ জেনারেল জানান, রুশ ভাড়াটে ওয়াগনার গোষ্ঠী বাখমুতে সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা থেকে সরে আসার পরপরই হামলা বাড়িয়েছে।
বাখমুতে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপ পর্যাপ্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ পেতে চলেছে বলে জানান গ্রুপটির প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। অঞ্চলটি থেকে বুধবারের (১০ মে) মধ্যে সেনা প্রত্যাহারের হুমকি দেয়ার পর রবিবার এ কথা জানান তিনি।
এদিকে ইউক্রেনীয় মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো টেলিগ্রামে বার্তা চ্যানেলে বলেছেন, কিয়েভের সোলোমিয়ানস্কি জেলায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিনজন আহত হন। এছাড়া সোভিয়াতোশিন জেলায় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ার সময় আরও দুইজন আহত হন।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, রোববার কিয়েভে অসংখ্য বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন তারা। তবে ইউক্রেনের আকাশপ্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রুশ হামলা প্রতিহতে কাজ করছে বলে জানান স্থানীয় কর্মকর্তারা। বেশ কিছু ড্রোন আকাশে চক্কর দিতেও দেখা গেছে।
কৃষ্ণ সাগরের বন্দরনগরী ওডেসাতে কয়েকটি হামলা হয়েছে রোববার। এ বিষয়ে ইউক্রেনীয় সামরিক প্রশাসনের মুখপাত্র সেরহি ব্রাচুক জানান, শহরটির একটি শস্যগুদামে হামলা চালায় রাশিয়া। এতে আগুন ধরে যায়।
এদিন ইউক্রেনের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ জুড়ে কয়েক ঘণ্টা বিমান হামলার সতর্ক সংকেত বাজতে থাকে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেকে।
সূত্র:আলজাজিরা, রয়টার্স