জি-৭ নেতাদের হিরোশিমা স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন

আপডেট: May 19, 2023 |
inbound7574539143061393967
print news

গাঢ় ধূসর আকাশ ও বৃষ্টির মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কিছু দেশের নেতারা পারমাণবিক অস্ত্রের ভয়াবহতা মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি নিয়ে শুক্রবার হিরোশিমায় সমবেত হয়েছেন। ১৯ মে থেকে ২১ মে হিরোশিমায় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আজ সকালে পারমাণবিক অস্ত্রধারী ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধানসহ জি-৭ নেতাদের শহরের পিস পার্কে লালগালিচা অভ্যর্থনা জানান।

জাপানি নেতা এবং তার পতœী একটি অরিগামি ক্রেনের মতো আকৃতির একটি সোনার পিন (জাপানের ঐতিহ্য অনুযায়ী এটি সফলতা ও সৌভাগ্যের প্রতীক) পড়েছেন, যা এই শহরের পারমাণবিক ধ্বংসযজ্ঞের উত্তরাধিকারের একটি অনানুষ্ঠানিক প্রতীক।

এর মাধ্যমে ব্লকটির তিন দিনের এই সম্মেলনে নিরস্ত্রীকরণকে এজেন্ডায় রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেছে।

কিশিদা এর আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে তার ঐতিহাসিক সফরে শহরে গাইড করেছিলেন। কিশিদা বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব অর্জন করা তার জীবনের কাজ।

কিন্তু আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ নেতাদের হিরোশিমার স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের দৃশ্যটি প্রতীকিভাবে ছিল অনেক ভারী ছিল। সেই তুলনায় নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা হালকা হতে পারে।

ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একাই হাজার হাজার ওয়ারহেডের অধিকারী, এবং জাপানসহ ব্লকের অবশিষ্ট সদস্যরা ওয়াশিংটনের ‘পারমাণবিক ছাতা’য় আচ্ছাদিত রয়েছে।

এবং অন্য কোথাও পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ কমানোর চেষ্টা আছে বলে মনে হয় না। মস্কো পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার জন্য হুমকি দিচ্ছে, চীন তার অস্ত্রাগার প্রসারিত করছে এবং উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ব্যারাজের সাথে একটি নতুন পারমাণবিক পরীক্ষার ভয় দেখাচ্ছে।

কিশিদা তার ‘হিরোশিমা অ্যাকশন প্ল্যানে’ তার সমকক্ষদেরকে সমর্থন আশা করছেন, যা গত বছর উন্মোচন করা হয়েছিল। যা বিদ্যমান মজুদগুলোর চারপাশে স্বচ্ছতা এবং অপ্রসারণের প্রতিশ্রুতির উপর দৃষ্টি নিবন্ধ করে।

নেতারা হিরোশিমা পিস মিউজিয়ামে একটি বিরতি দিয়ে তাদের সফর শুরু করেছিলেন, যেখানে ৬ আগস্ট, ১৯৪৫-এ মার্কিন পারমাণবিক হামলার ফলে সৃষ্ট ধ্বংসাত্মক এবং দুর্ভোগের গ্রাফিক প্রমাণ রয়েছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর