চলতি সপ্তাহে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, চলতি সপ্তাহ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারত থেকে আসা শুরু হবে। আমাদের লক্ষ্য হলো রমজানের আগে যেন ভোক্তাদের বেশি দামে নিত প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে না হয়।
আজ শনিবার (২ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রাসরুট উইম্যান অন্ট্রাপ্রেনারস বাংলাদেশ (এজিউব্লিউইবি) আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আবুধাবিতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রতিমন্ত্রী।
বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডব্লিউটিওতে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একটা মিটিং ছিল। সেখানে উনি (পীযুষ গয়াল) বসে চিঠি ইস্যু করার নির্দেশ দিয়েছেন। চিঠি ইস্যু হয়ে গেছে। আমাদের হাতে চিঠির কপি এসে গেছে। কাল আমরা চিঠি পেয়েছি।
তিনি বলেন, এ সপ্তাহ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারত থেকে আসা শুরু হবে।
আমাদের লক্ষ্য হলো রমজানের আগে যেন ভোক্তাদের বেশি দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে না হয়।
আগামীকাল থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৩ টাকায় বিক্রি হবে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসের বাইরেও নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার থেকে ভোজ্যতেলের মনিটরিং শুরু হয়েছে। আজ সকাল থেকেও সব মিলগেটে টিমগুলো মনিটরিংয়ে আছে।
টেরিফ কমানোর পরে কত মাল তারা আমদানি করেছে এবং তাদের বাফারস্টোক তৈরির জন্য যে সময় দেওয়া হয় তা কতটা কাজে লাগিয়েছে সে বিষয়ে এরই মধ্যে তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আমি মনে করি আগামীকাল থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৩ টাকায় বিক্রি হবে। আর প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৪৯ টাকায়।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমাদের টার্গেট রমজানে যেন ভোক্তাদের বেশি দামে পণ্য কিনতে না হয়। তেলে ভ্যাট-ট্যাক্স কমানোর চিঠি দিয়েছি যার প্রভাব রমজানে পড়বে। খেজুর প্রায় ১০ প্রকার রয়েছে।
ব্যবসায়ীদের একমাস সময় দিয়েছি দাম কমানোর। বস্তায় আসা জায়েদি খেজুর আগামীকাল দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
আশা করছি এরপর দাম কমে আসবে অর্থাৎ এ সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ খুচরা ও পাইকারী মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হবে, এতে দাম কমে আসবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের সমস্যা নিরসন করে দেব কিন্তু কোনো অজুহাত শুনবো না। যৌক্তিক কারণ ছাড়া রমজানে কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেরিতে ছাড়ের সুযোগ নেই।
আমাদের টার্গেট শুধু রমজান নয়, রমজান মাসের পরও নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ কোনো ব্যবসায়ী বা গোষ্ঠীর হাতে সাধারণ মানুষ জিম্মি থাকবে না। টিসিবির এক কোটি মানুষ তেল-চিনিসহ কয়েকটি নিত্যপণ্য ভর্তুকি মূল্যে পাবেন।